সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০১ আগস্ট, ২০১৭ ১০:৫৯

হোয়াইট হাউজের জনসংযোগ প্রধানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

হোয়াইট হাউজের জনসংযোগ প্রধান দায়িত্ব পাওয়ার মাত্র ১০ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে অ্যান্থনি স্কারামুচিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

সাবেক আর্থিক ব্যবস্থাপক স্কারামুচি গত শুক্রবার কাজে যোগ দেয়ার পর একজন সাংবাদিককে টেলিফোনে তার সহকর্মীদের সম্পর্কে অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। স্কারামুচির নিয়োগকে কেন্দ্র করে হোয়াইট হাউজের চিফ অফ স্টাফ রায়ান্স প্রিবাস এবং মুখপাত্র শন স্পাইসার দুইজনই পদত্যাগ করেন।

মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের নতুন চিফ অফ স্টাফ জন কেলি স্কারামুচিকে সরিয়ে দেয়ার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

হোয়াইট হাউজ থেকে মাত্র তিনটি বাক্যে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে যে "অ্যান্থনি স্কারামুচি যোগাযোগ পরিচালক পদ থেকে সরে যাচ্ছেন। স্কারামুচি মনে করেছেন চিফ অফ স্টাফ জন কেলিকে তার নিজের টিম গঠনের সুযোগ দেয়া উচিত। আমরা তার জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি"।

এদিকে মাত্র দুইদিন আগে রাইন্স প্রিবাসকে সরিয়ে চিফ অব স্টাফ পদে জন কেলিকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গতকাল সোমবার দায়িত্ব নেন কেলি। দায়িত্ব নিয়েই স্কারামুচিকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

এদিকে প্রিবাসের অব্যাহতির জন্য স্কারামুচিই দায়ী বলে মনে করছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো। কারণ স্কারামুচির নিয়োগের পর থেকেই চাপে ছিলেন প্রিবাস। গণমাধ্যমের কাছে গোপন তথ্য ফাঁস করছেন, প্রিবাসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে। এরকম অভিযোগ নিয়ে একটি টুইটও করেছিলেন স্কারামুচি। যদিও অনতিবিলম্বে তা মুছে ফেলেন তিনি। এরকম প্রেক্ষাপটেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে স্বয়ং ট্রাম্প টুইট করে প্রিবাসের বদলে জন কেলির নাম ঘোষণা করেছিলেন।

এদিকে মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, স্কারামুচির হোয়াইট হাউসে নিয়োগ নিয়ে তার সংসারেও চলছিল অশান্তি। স্কারামুচির স্ত্রী দ্রেইদ্রে বল মারাত্মক ট্রাম্প বিরোধী। আর তাই ট্রাম্পের সঙ্গে স্বামীর এতো ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। আদালতে বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদনও করে বসেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত