সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১১:১৭

রোহিঙ্গা সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়াল

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সর্বশেষ এই সংখ্যা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা আইওএমের নেতৃত্বাধীন ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি)।

বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা পাঁচ লাখ এক হাজার ৮০০ জন।

তবে আইওএমের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজারের চারটি উপজেলায় নিজেদের মতো আশ্রয় তৈরি করে টিকে আছে চার লাখ ৪৮ হাজার ১০০ রোহিঙ্গা।

অন্যদিকে শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কর্মরত জাতিসংঘের মাঠকর্মীরা জানিয়েছেন, উপজেলাটিতে ১৮ হাজার ৭০০ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ আশ্রয় নেয়। স্থানীয় লোকজন প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। পরে সহায়তা শুরু করে বাংলাদেশ সরকারসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থা।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, উখিয়া ও টেকনাফের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় ত্রাণ পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যা নিরসনে উখিয়ার বালুখালীতে ৬১৫ মিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বালুখালী, কুতুপালং ও উনচিপ্রাংয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ৩৬৭টি শৌচাগার। আশ্রয় নেওয়া প্রতি রোহিঙ্গার জন্য সাড়ে সাত লিটার করে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কাছে খুব অল্প সহায়-সম্বল রয়েছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ আসতে আর নিজেদের জন্য মাথা গোজার ঠাঁই বানাতেই তাদের সব অর্থ শেষ হয়েছে। বিভিন্ন দাতা সংস্থার ত্রাণ ও সাহায্যের ওপর বলতে গেলে বেঁচে আছে তারা।

রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য উখিয়াতে ২০০ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ ছাড়া নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা হবে বলে সম্প্রতি সরকারের ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা মা-বাবাহারা শিশুদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ সরকার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত