সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ অক্টোবর, ২০১৭ ২০:৩৯

সহিংসতা ছড়াতে কোটি রুপি ঢালেন হানিপ্রীত

দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণ মামলায় তখন সবেমাত্র কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। সেই খবর আদালতের বাইরে আসতে তার ভক্তদের তাণ্ডবে মুহূর্তে উত্তাল হয়ে ওঠে ভারতের হরিয়ানার পঞ্চকুলা। এতে মৃত্যু হয় অন্তত ৩৬ জনের। ‘বাবা’র প্রতি ভক্তদের ভালবাসা থেকেই সে দিনের এই বিপুল জনরোষ বলে দাবি করা হয়েছিল রাম রহিমের ডেরার তরফে। কিন্তু হানিপ্রীত গ্রেফতার হওয়ার পর উঠে এল অন্য তথ্য।

পুলিশের দাবি, সে দিনের তাণ্ডব শুধুই ‘বাবা’র প্রতি ভক্তদের প্রেম ছিল না। এর মধ্যে লুকিয়ে ছিল রুপির খেলা।

পুলিশের অভিযোগ, পালক পিতাকে বাঁচানোর জন্য হিংসা ছড়াতে কোটি রুপি খরচ করেন হানিপ্রীত। খোদ রাম রহিমের নির্দেশেই সেই অর্থ আসে ডেরার অ্যাকাউন্ট থেকে। রাম রহিমের গাড়ির চালক তথা ব্যক্তিগত সহায়ক রাকেশ কুমারকে জেরার পর চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে আসে বলে দাবি করেন পঞ্চকুলার পুলিশ কমিশনার এ এস চাওলা।

৩৮ দিন পালিয়ে বেড়ানোর পর গত ৩ অক্টোবর ধরা পড়েন হানিপ্রীত। অর্থ ঢেলে হিংসা ছড়ানোর প্রশ্নে তিনি সন্তোষজনক উত্তর দিচ্ছেন না বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ করছে পুলিশ। আর সহযোগিতা না করায় তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার আবেদন করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

ভারতীয় গণমাধ্যমৈর খবর, হানিপ্রীত গ্রেফতার হওয়ার দিন কয়েক আগে গ্রেফতার হন রাম রহিমের গাড়িচালক তথা ব্যক্তিগত সহায়ক রাকেশ কুমার। জোড়া ধর্ষণ মামলার শুনানি চলাকালীন গুরমিত এবং হানিপ্রীত দু’জনকেই সঙ্গ দিতেন এই রাকেশ। ২৬ আগস্ট অর্থাৎ গুরমিতের সাজা ঘোষণার পর দিনই রোহতক থেকে হানিপ্রীতকে সিরসায় সরিয়ে নিয়ে আসেন তিনি। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে হানিপ্রীতকে সাহায্য করেন রাকেশ।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাকেশ গ্রেফতার হন। তাকে জেরা করে পুলিশ হানিপ্রীত সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারে। পুলিশের দাবি, জেরায় রাকেশ জানিয়েছেন, সে দিন হিংসা ছড়ানোর জন্য ডেরা পঞ্চকুলা শাখার প্রধান চমকৌর সিংহের হাতে হানিপ্রীত এক কোটি  ২৫ লাখ রুপি তুলে দেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে আর বেশি কিছু জানাতে চায়নি পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত