সিলেটটুডে আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১২ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৪:১৪

ম্যানহাটন হামলাই বলে দিল, অভিবাসন আইন বদলানো কত জরুরি : ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাকে উল্লেখ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই হামলাই প্রমাণ করে অভিবাসন আইনের জরুরি সংস্কার দরকার।

সোমবার () হামলার পর ট্রাম্প এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এর আগে সোমবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনে পোর্ট অথরিটি টার্মিনাল স্টেশনের ভূগর্ভস্থ পথে এ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে হামলাকারী ও তিন পুলিশ আহত হয়েছেন। হামলাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বলে দাবি করেছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ।

হামলার পর ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, সন্দেহভাজন হামলাকারী ফ্যামিলি ইমিগ্রান্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসে এবং এ দেশের চেইন মাইগ্রেশন নীতির সুবিধা নেয়। আর এই নীতি যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

নিউইয়র্ক পুলিশের দাবি, প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে নিউইয়র্কে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে আটক বাংলাদেশি যুবক আকায়েদ উল্লাহর বরাত দিয়ে পুলিশ নিউইয়র্ক পোস্টকে জানায়, হাসপাতালে আহত অবস্থায় আকায়েদ বলেছেন, ‘তারা আমার দেশে বোমা বিস্ফোরণ করছে, তাই আমি এখানে হামলা করতে চেয়েছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, হামলায় জড়িত সন্দেহে আটক ব্যক্তি নিজের শরীরের সাথে চিকন পাইপ ও প্লাস্টিকের বস্তুর মাধ্যমে শরীরের সাথে বোমাটি বেঁধে রেখেছিলেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ হামলার কারণ উদ্ঘাটন করতে না পারলেও কথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ওই যুবক হামলা চালিয়েছেন বলে দাবি করেছে। এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা’ আখ্যা দিয়ে নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডে ব্লাসিও বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা বিজয়ী হবে না। আমরা নিউইয়র্কবাসী তাদের রুখে দেব।’

পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেয়া ২৭ বছর বয়সী আকায়েদ ক্যাবগাড়ি চালাতেন। প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে তিনি এ বিস্ফোরণ ঘটান। ২০১১ সালে ইস্যু করা ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে তার ছবি ও পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আকায়েদ ব্রুকলিনের বাসিন্দা। গত ৭ বছর ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছেন। তাকে নিয়ে তার প্রতিবেশীদের মন্তব্যে দেখা যাচ্ছে, একাকী বসবাস ও চলাফেরা করতেন তিনি। কারও সাথে তেমন একটা মিশতেন না।

নিউইয়র্ক পোস্টকে এক প্রতিবেশী ক্যাট মারা বলেন, তার আচরণ অদ্ভুত ছিল। সব সময় মনে হতো তিনি কোনো কিছু ভাবছেন। খুব বেশি উদাসীন লাগত তাকে। এমনকি হ্যালো পর্যন্ত বলত না। তার সাথে কাউকে দেখাও যেত না।

নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, আকায়েদকে বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিস্ফোরণে হাত ও পেট দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত