ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৫ জুন, ২০১৫ ০১:২৯

রোজা রাখার সময় কমিয়ে আনার প্রস্তাব ব্রিটেনে

ব্রিটেনে শীর্ষস্থানীয় একটি মুসলিম ফাউন্ডেশন এবছর ব্রিটেনে রোজা রাখার সময় কিছুটা কমিয়ে আনার সুপারিশ করেছে। গ্রীষ্মকালে লম্বা দিন হওয়ার কারণে ব্রিটিশ মুসলিমদের প্রতি এই আহবান জানিয়েছে এই ফাউন্ডেশনটি। খবর সূত্র: বিবিসি বাংলা।

মধ্যপ্রাচ্যের তুলনায় বৃটেনে দিনের আলো বেশিক্ষণ স্থায়ী হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অবশ্য গত বছরই ‘নিশীথ সুর্যের দেশ’ নরওয়েতে ২০ ঘণ্টা রোজা রাখা নিয়ে কথা উঠেছিলো।

নিজেদের উদারপন্থী ‘থিংক ট্যাংক’ হিসেবে পরিচয় দেয়া সংগঠন ‘কুইলিয়াম ফাউন্ডেশনে’র ইসলামিক স্টাডিজের জেষ্ঠ গবেষক ড. উসামা হাসান জানান, ইসলাম সব সময় ভারসাম্য এবং নমনীয়তার নীতিকে সমর্থন করে।

কুইলিয়াম ফাউন্ডেশনের একজন ওলেমা ড. ওসামা হাসান বলেছেন, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখার অর্থ হচ্ছে কোন ধরনের খাবার বা পানি ছাড়াই প্রায় ১৯ ঘণ্টা কাটানো। ব্রিটেনে রোজা রাখার এই সময় মধ্যপ্রাচ্য বা বিশ্বের যেকোনো মুসলিম দেশে রোজা রাখার সময়ের তুলনায় বেশি।

তার দাবি, ইসলামি চিন্তাবিদেরা অনেকদিন ধরেই রোজার সময় কমানো নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করে আসছেন। বৃটেনে এখন এই মধ্য গ্রীষ্মে লম্বা সময় রোজা রাখার রেওয়াজের জন্য দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয়। আর এবার তো প্রায় ১৯ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে।

“ইসলামে ভারসাম্য ও নমনীয়তার কথা বলা হয়েছে। গ্রীষ্মকালের মাঝামাঝি দিন খুব বেশি লম্বা হয়। কারণ ব্রিটেন উত্তর মেরুর কাছাকাছি” বলেন তিনি। রোজার সময়সীমা নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে কয়েকশো বছর ধরে বিতর্ক চলছে।

ড. হাসান বলছেন, “মক্কায় যেমন ১২/১৩/১৪ ঘণ্টা রোজা রাখা হয় সেরকম রাখলেই হয়। এরচে বেশি সময় রোজা রাখার দরকার হয় না।”

আগামী বৃহষ্পতিবার রমজান মাস শুরু হচ্ছে। তবে এটা নির্ভর করছে চাঁদ দেখা যাওয়ার ওপর। তবে ব্রিটেনে বহু মুসলিম এই প্রস্তাবের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন।

তারা মনে করেন, তারা যেদেশে বসবাস করছেন সেদেশে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের সময় অনুসরণ করেই তাদেরকে রোজা রাখতে হবে। তাদের যুক্তি হলো যতক্ষণ ধরেই রোজা রাখা হোক না কেনো একসময় মানুষের শরীর এতে অভ্যস্ত হয়ে যায়। কেউ কেউ বলেন, এজন্যে আল্লাহও তাদেরকে সাহায্য করেন।

তাদের এমন প্রতিক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বৃটেনের গ্রেটার ম্যানচেস্টার মসজিদের ইমাম আসাদ জামান বলেন, রোজার সময় সহ্য ক্ষমতা নিয়ে বৃটিশ মুসলিমদের অনুভূতির সাথে তিনি পুরোপুরি একমত। তার মতে মানব শরীরে এমন চমৎকার কিছু আছে যা সকল পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত