সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ মার্চ, ২০১৮ ১৬:১৭

শপথের আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

ভারতের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার শপথ নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব।

শপথ নেওয়ার আগে আজ সকালে বিপ্লব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, ত্রিপুরার উন্নয়নে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেছেন বিপ্লব। তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার জনগণের সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন।

বিপ্লব কুমার দেবের পৈত্রিক বাড়ি বাংলাদেশের চাঁদপুরের কচুয়ায় মেঘদাইর গ্রামে। বিপ্লব দেব তিন বোনের একমাত্র ভাই। তার বাবা কচুয়া উপজেলার সহদেবপুর পূর্ব ইউনিয়নের মেঘদাইর গ্রামে হিরুধন দেব। মায়ের নাম মিনা রানী দেব। তার বাবা-মা বাংলাদেশে থাকাকালে গর্ভধারণ করেছিলেন তা মা। তবে ত্রিপুরার মাটিতেই জন্মগ্রহণ করেন বিপ্লব দেব। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বাবা-মা ত্রিপুরা চলে যান। এরপর সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যান তারা। তবে তার আত্মীয়স্বজন অনেকেই এখনো কচুয়া বসবাস করেন। তাঁর চাচা প্রাণধন দেব কচুয়া উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি।

এদিকে, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিপ্লব দেবের শপথ অনুষ্ঠানে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহসহ দলটির নেতারা।

ত্রিপুরার নতুন সরকারে বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা জিষ্ণু দেববর্মা উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

গত মাসে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন হয়। বামদের দুর্গ গুঁড়িয়ে দিয়ে নির্বাচনে বিপুল জয় পায় বিজেপি। রাজনীতিতে অনেকটা আনকোরা বিপ্লবকে সামনে রেখেই বিজেপি নির্বাচন করেছিল। দলটি ৩৫টি আসন পেয়েছে। আটটি আসন পাওয়া আঞ্চলিক দল ইন্ডিজেনিয়াস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরার সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করেছে বিজেপি। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা মানিক সরকারের দল কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (সিপিআই-এম) পেয়েছে মাত্র ১৬টি আসন।

দায়িত্ব গ্রহণের আগে বিপ্লব এনডিটিভিকে তার অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র ও নতুন ভূমিকার কথা জানান। তিনি জনতার লোক হয়ে কাজ করার কথা বলেছেন। বিপ্লব বলেন, ‘জনগণ আমার প্রেরণা। তারাই আমার দল।’

ত্রিপুরার জনগণকে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিপ্লব। তিনি বলেছেন, ‘আমি ত্রিপুরাবাসীকে ভালোবাসি। কমিউনিস্ট ও মানিক সরকারকেও ভালোবাসি। কিন্তু আমি হতাশ যে তারা (সিপিআই-এম) অনেকটা সময় পেয়েও রাজ্যের উন্নয়নে সম্পদের সদ্ব্যবহার করেনি।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত