ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২৭ আগস্ট, ২০১৮ ২০:১২

মিয়ানমারের ২৭ নাগরিককে দেশ ছাড়া করলো যুক্তরাষ্ট্র

অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে মিয়ানমারের ২৭ জন নাগরিককে দেশ দেশ ছাড়া করলো যুক্তরাষ্ট্র।

প্রথমে মিয়ানমার তাদের গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালেও মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে মিয়ানমার তার অবস্থান পরিবর্তনে বাধ্য হয়। মিয়ানমারের সামরিক শাসনবিরোধী সংবাদকর্মীদের দ্বারা পরিচালিত থাইল্যান্ডভিত্তিক সংবাদপত্র ইরাবতী জানিয়েছে, এই ২৭ জনই শেষ নয়। যুক্তরাষ্ট্র অপরাধে জড়িত মোট ৪৭ জনের তালিকা করেছে মিয়ানমারের ফেরত পাঠাবার জন্য।

‘বার্মিজ আমেরিকান কমিউনিটি ইন্সটিটিউটের’ (বিএসিআই) প্রেসিডেন্ট ড. রো ডিঙ্গা জানিয়েছেন, ‘অপরাধে জড়িত ৪৭ জনের তালিকা ওয়াশিংটনে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাসে হস্তান্তর করা হয়েছিল গত ২২ আগস্ট। কিন্তু মিয়ানমার এদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হচ্ছিল না। তখন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ডিরেক্টর জেনারেল থেকে শুরু করে ওপরের দিককার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ পদক্ষেপে নমনীয় হয় মিয়ানমার এবং ওই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের গ্রহণ করতে রাজি হয়। যুক্তরাষ্ট্র তালিকাভুক্ত ৪৭ জনের মধ্যে ২৭ জনকে একটি চার্টার্ড বিমানে করে মিয়ানমারে পাঠিয়েছে।’

ওই ২৭ জনের মধ্যে সাতজন চীন, ছয়জন বামার এবং বাকিরা কারেন নৃগোষ্ঠীর। বাকি ২০ জনকেও ফেরত পাঠানো হবে কিন্তু তারিখ এখনও নির্দিষ্ট হয়নি।

‘চীন কাউন্সিল লিগ ফর ডেমোক্রেসির’ চেয়ারম্যান নাই সেক বলেছেন, ‘আমি শুনেছি অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের প্রত্যর্পণ করা হয়েছে। এর বেশি কিছু আমি জানি না।’

তবে বিএসিআই বলেছে, অভিযুক্তদের কেউ কেউ পারিবারিক সহিংসতায় জড়িত, কেউ কেউ ভিসার মেয়াদ পার হয়ে যাওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিল। এদের মধ্যে পাসপোর্ট জালিয়াতি করার অভিযোগও রয়েছে কারও কারও বিরুদ্ধে। সংগঠনটির চেয়ারম্যান ড. রো ডিঙ্গা মন্তব্য করেছেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত যে যুক্তরাষ্ট্র আইন-কানুন আরও কঠিন করে দিয়েছে।’

ইরাবতী জানিয়েছে, মিয়ানমারের এসব নাগরিককে প্রত্যর্পণের কাজ করেছে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ কাস্টম অ্যান্ড ইমিগ্রেশন।’ সংস্থাটি সম্প্রতি কম্বোডিয়ার ৫০০ জন নাগরিককেও ফেরত পাঠিয়েছে একইভাবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত