আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৮ জানুয়ারি, ২০১৯ ২১:২৫

‘পাইলটের ধূমপানের কারণেই ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনা’

বিমানের ককপিটে পাইলটের ধূমপানের কারণেই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হয় বলে দাবি করেছে নেপালের দুর্ঘটনা তদন্ত কমিশন।

সোমবার (২৮ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির সংবাদে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের মার্চ মাসে ইউএস-বাংলা বোম্বারডিয়ার ইউবিজি-২১১ বিমানটি নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়। এতে মৃত্যু হয় পাইলটসহ ৫১ যাত্রীর। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, নিষেধ থাকা সত্ত্বেও বিমানের ককপিটে পাইলটের ধূমপান।

রিপোর্টে আরও বলা হয়, কমিশন সূত্র জানায় বিমানটির দায়িত্বে থাকা পাইলট ধূমপায়ী ছিলেন। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার বা  সিভিআর থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক যেকোনো রুটে ধূমপান নিয়ে ইউএস-বাংলা কোম্পানির বিধি নিষেধ থাকলেও তা মানা হয়নি। দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষ হয়তো এ বিষয়ে জানতেন না।

পাইলট তামাক ছাড়া অন্য কোন ‘নিষিদ্ধ’ দ্রব্য গ্রহণ করেননি বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।

কমিশন আরও জানায়, তাই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, পরিস্থিতি সম্পর্কে ‘পাইলট ও ক্রু’ সদস্যদের পর্যাপ্ত মনোযোগের অভাব।

তবে নেপালের দুর্ঘটনা তদন্ত কমিশনের এই বক্তব্য মেনে নেয়নি ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ। সিভিল এভিয়েশন সূত্র জানায়, ককপিট ভয়েস রেকর্ডার ও ফ্লাইট ডাটা অনুসারে নেপালের তদন্ত কমিশনের দাবির সত্যতা নেই।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ৪ জন ক্রু ও ৬৭ যাত্রীসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৪ জন ক্রুসহ ২৭ জন বাংলাদেশি, ২৩ জন নেপালি ও একজন চীনা যাত্রী নিহত হন। আহত হন ৯ জন বাংলাদেশি, ১০ জন নেপালি ও ১ জন মালদ্বীপের নাগরিক।

এর আগে, বিমান দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পাইলটের  ‘ক্লান্তি, মানসিক অবসাদ ও নির্ঘুম’ থাকাকে দায়ী করলেও ইউএস-বাংলা বলছে  দুর্ঘটনা ঘটেছে বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে পাইলটের ভুল বোঝাবুঝিতে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত