আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৫:৩৬

উত্তরপ্রদেশে নিরাপত্তা জোরদার, ২১ জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট

ভারতের উত্তরপ্রদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। রাজ্য পুলিশের ডিজি ওপি সিংহ জানিয়েছেন, ৭৫টি জেলার মধ্যে ২১টি জেলায় ইন্টারনেট পরিসেবা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। পুরো রাজ্য নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। নজরদারি চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে নামানো হয়েছে আধাসামরিক বাহিনীও।
 
রাজ্যজুড়ে সহিংসতা চলাকালীন বিজনৌর, বুলন্দশহর, মুজফফরনগর, মেরঠ, আগরা, সম্ভল, ফিরোজাবাদ, আলিগড়, গাজিয়াবাদ, রামপুর, সীতাপুর এবং কানপুরে আগেই ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। শুক্রবার জুমআর নামাজের পর সিএএ-র প্রতিবাদে ফের সহিংসতা ছড়ানোর আশঙ্কায় আরও বেশ কয়েকটি জেলায় এই পরিসেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

রাজ্য পুলিশের ডিজি ওপি সিংহ বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। সংবেদনশীল জায়গাগুলোতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ইন্টারনেট পরিষেবা ফের চালু করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ার ওপরও নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে রাজ্যে সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের। ইতোমধ্যেই সাড়ে ১৯ হাজার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। গত সপ্তাহেই ১২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে ইতোমধ্যেই ৪৯৮ জনকে চিহ্নিত করেছে রাজ্য প্রশাসন। সহিংসতায় মদদ ও জড়িত থাকার অভিযোগে শুধু মেরঠেই ৭৯টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩১৭ জনকে।

রাজ্য পুলিশের ডিজি ওপি সিংহ বলেন, পুলিশ কোনও নিরীহ ব্যক্তিকে স্পর্শ করেনি। কিন্তু যারা সহিংসতা মদদ দিচ্ছেন, তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। এবং সে কারণেই বেশ কয়েকটি সংগঠনের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরে উত্তাল উত্তরপ্রদেশ। ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দফায় দফায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত