সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ অক্টোবর, ২০১৫ ০১:৪৯

যুদ্ধাপরাধী সাকার পক্ষে বার্গম্যানের শেষ চেষ্টা, এবার ৫ পাকিস্তানি

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরীর পক্ষে বিতর্কিত ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বার্গম্যান এবার সামনে নিয়ে এসেছেন ৫ পাকিস্তানি নাগরিককে।

এ ৫ পাকিস্তানি নাগরিক সাকা চৌধুরীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে চান বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা অনলাইন।

আল-জাজিরায় প্রকাশিত এ প্রতিবেদন লিখেছেন ডেভিড বার্গম্যান, যিনি বাংলাদেশের আদালত অবমাননার দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত।

বাংলাদেশে বসবাস করা ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেনের মেয়ের জামাই। এবং বাংলাদেশের চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে বহির্বিশ্বে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

আল জাজিরা অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাকার পক্ষে পাকিস্তানীরা সাক্ষ্য দিতে চান। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন বাংলাদেশে বাস করা আদালত অবমাননায় সাজাপ্রাপ্ত ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান।

সাকার রিভিউ আবেদনের দিনই প্রকাশিত বার্গম্যানের প্রতিবেদনে ওই পাঁচ পাকিস্তানী দাবি করেন, আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সংশ্লিষ্ট আদালত তাদের সাক্ষ্য গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

সাক্ষ্য দিতে চাওয়া পাকিস্তানের পাঁচ নাগরিকদের  মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মিয়া সুমরো, সাবেক মন্ত্রী ইসহাক খান খাকওয়ানি, ডন মিডিয়া গ্রুপের প্রধান আম্বার হারুন সায়গল এবং দু’জন ব্যবসায়ী।

এই পাঁচ পাকিস্তানীর দাবি, ১৯৭১ সালের যে সময়ে সংঘটিত অপরাধে সাকার মৃত্যুদণ্ড হয়েছে সেসময় বাংলাদেশেই ছিলেন না তিনি।

মানবতাবিরোধী অপরাধে বর্তমানে মৃত্যুপরোয়ানা মাথায় নিয়ে কাশিমপুর কারাগারে আছেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার পর সাকার পক্ষে বুধবার রিভিউ আবেদন করা হয়েছে। একইদিন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদও রিভিউ আবেদন করেছেন।

উল্লেখ্য, যুদ্ধাপরাধী  সাকা চৌধুরীর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় তার আইনজীবিরা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সাকা চৌধুরী পাকিস্তানে ছিলেন এমন বক্তব্য প্রদানের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষ সে সময়কার বিভিন্ন দলিল উপস্থাপন করে। সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার কপি উপস্থাপন করে আসামিপক্ষের এ দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত