সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ২০:৩৭

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর: ১০ হাজার টাকায় কেনা যাবে ‘প্রতীকী ইট’, হওয়া যাবে অংশীদার

রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্মিতব্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্থায়ী ভবন নির্মাণে মাত্র দশ হাজার টাকা দিয়ে ‘প্রতীকী ইট’ কিনে অথবা এর বাইরে যে কোন পরিমাণ অনুদান দিয়ে যে কেউ এর অংশীদার হতে পারবেন। এ জাদুঘর থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মারকসামগ্রী সংগ্রহ করা যাবে।

সব শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ ও জনগণের মালিকানায় স্থায়ী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টিদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী। আরও উপস্থিত ছিলেন জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য-সচিব জিয়াউদ্দিন তারিক আলী, ট্রাস্টি সারা যাকের, ট্রাস্টি রবিউল হুসাইন এবং অর্থ সংক্রান্ত কমিটির সদস্য এ মতিন চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. সারওয়ার আলী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর তিন মাসব্যাপী একটি প্রচার অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে জাদুঘরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে যেকোনো পরিমাণের অর্থ অনুদান হিসেবে গ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে দশ হাজার টাকায় প্রতীকী ইট কিনে যে কেউ এ জাদুঘরের অংশীদার হতে পারবেন।

এ জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের 'মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ' অ্যাকাউন্টে (নম্বর : ১৫০১১০১৬৫৮৬৩৭০০১) এবং বিকাশ নম্বর ০১৭৩০৬০০০৬২ এ টাকা পাঠানো যাবে। আর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের এ আহ্বান থেকে আশানুরূপ সাড়া পেয়ে উদ্বৃত্ত অর্থ থাকলে সেটি দিয়ে একটি তহবিল তৈরি করা হবে। ওই তহবিলের অর্থ জাদুঘরের কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যয় করা হবে।

সারওয়ার আলী আরও বলেন, 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি জনযুদ্ধ। সকল শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণেই অর্জিত হয়েছিল আমাদের বিজয়। তাই আমরা চাই সকল শ্রেণির মানুষের মালিকানা ও অংশগ্রহণেই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কাজ সম্পন্ন হোক।'

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আড়াই বিঘা জমির ওপর স্থায়ীভাবে এ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণের জন্য আনুমানিক ব্যয় হবে ১০২ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে সরকারের বাজেট বরাদ্দ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৮০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়া গেছে। ফলে জাদুঘরের পুরো কাজ সম্পন্ন করতে এখনো ২২ কোটি টাকা প্রয়োজন।

জিয়াউদ্দিন তারেক আলী জানান, ২০১২ সালে সরকারি বাজারমূল্যে ক্রয় করা আড়াই বিঘার জমির ওপর আগারগাঁওয়ে স্থায়ী ছয়তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে ১০৬টি গাড়ি ও প্রাপ্ত স্মারকসামগ্রী রাখার ব্যবস্থা সম্মিলিত তিনটি বেসমেন্ট এবং ছয়তলা ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। তবে গ্যালারি তৈরির কাজ এখনো বাকি।

সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা পেলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের পুরো কাজ সম্পন্ন করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অবস্থান রাজধানীর সেগুনবাগিচার ভাড়া বাড়িতে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত