অনলাইন ডেস্ক

৩০ মে, ২০২০ ২১:৫২

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন ডি

করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে আমাদের দেশে দীর্ঘদিন সাধারণ ছুটির পর আগামীকাল থেকেই সীমিত পরিসরে অফিস খোলা হবে। তবে এ সময়ও করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। এসময় সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে ইমিউনিটি বা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ডি এর তুলনা নেই। তাই জেনে নিন ভিটামিন ডি সম্পর্কে কিছু তথ্য-

অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করে
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাস ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করে। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। করোনা হলে শ্বাসকষ্টের কারণেই অনেকে মারা যান। সম্প্রতি কিছু গবেষণা বলছে, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। এছাড়া শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরিতেও ভূমিকা রাখে। শুধু কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের জন্য নয়, এসময় প্রত্যেকেরই ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরী। এজন্য পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি গ্রহণে মনোযোগ দিতে হবে।

ভিটামিন ডি এর উৎস-

সূর্যালোক
সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস। প্রতিদিন সকালে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট রোদে থাকা ভালো। তবে বাস্তবতা হলো, লকডাউনে বাসায় থাকার কারণে গায়ে সূর্যের আলো গায়ে লাগানো কঠিন। যাদের ছাদে যাওয়ারও সুযোগ আছে তারা সকালবেলা কিছুটা সময় ছাদে হেঁটে আসতে পারেন। কারো কারো বাসার বারান্দাতেও রোদ আসে। তবে মনে রাখা ভালো, পোশাক ও সানস্ক্রিন ত্বকে সরাসরি ভিটামিন ডি লাগতে বাধা দেয়। এছাড়া গাড়ি বা ঘরের ভেতরে জানালার কাচ ভেদ করে যে আলো আসে তাতে ভিটামিন ডি মেলে না।

যেসব খাবারে ভিটামিন ডি থাকে
দুধ, ডিমের কুসুম, মাশরুম, মাখন, টক দই, সামুদ্রিক মাছ ও চর্বিযুক্ত খাবারে ভিটামিন ডি থাকে। যেসব প্রাণী মাঠে থাকে, প্রচুর সূর্যালোক পায় ওইসব প্রাণীর দুধ, ডিম ও যকৃতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। একারণে গরুর যকৃত ভিটামিন ডি এর চমৎকার উৎস।

ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট
দেহে ভিটামিন ডি এর অতিরিক্ত ঘাটতি দেখা দিলে সাপ্লিমেন্ট খেতে হয়ে। তবে সাপ্লিমেন্ট খেতে হয় চিকিৎসকের পরামর্শে। করোনাভাইরাসের এই সময় যেহেতু হাসপাতালে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ ফলে এখন সাপ্লিমেন্ট না খেয়ে খাবারদাবারের প্রতি গুরুত্ব দিন। প্রতিদিন কিছুক্ষণের জন্য সূর্যালোকে থাকুন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তো বটেই, এছাড়া হাড়, দাঁত ও পেশী সুস্থ রাখতেও ভিটামিন ডি দরকার। শিশুর মেধা বিকাশেও সাহায্য করে ভিটামিন ডি।

তথ্যসূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

আপনার মন্তব্য

আলোচিত