নিউজ ডেস্ক

২৩ জানুয়ারি, ২০১৫ ০২:১৫

প্রেগনেন্সি রোধে কনট্রাসেপটিভ মেথড

গর্ভ নিরোধের পাঁচটি উপায়



পিল:অবাঞ্চিত প্রেগনেন্সি রোধ করেত কনট্রাসেপটিভ মেথড কমন।আগে যে কনট্রাসেপশন ব্যহার করা হত সেগুলিতে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা অত্যন্ত বেশি থাকত।ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনাও থাকত বেশি।ওজন বাড়া,মুড সুইং-সহ নানা সমস্যা দেখা দিত।তবে আধুনিক কনট্রাসেপশনে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে বলে ওজন বাড়ার সমস্যাও কম দেখা দেয়।তাই যাঁরা এই মূহূর্তে সন্তান চাইছেন না ও যাঁদের হাইপারটেনশান, লিভার সমস্যা বা মাইগ্রনের সমস্যা নেই,তাঁদের পক্ষে ওরাল কনট্রাসেপটিভ পিল কিন্তু বেশ কার্যকারী।

কন্ডোম:কন্ডোম জাতীয় কনট্রাসেপশন ব্যবহার করতে পারেন।এছাড়া কন্ডোম জন্মরোধের পাশাপাশি যৌন রোগ প্রতিরোধও সাহায্য করে।তবে অনেকের যৌনমিলনের সময় ল্যাটেক্স বা রবারের কন্ডোম ব্যবহার করলে জালা, যন্ত্রনা বা ব্যাথা হতে পারে।সেক্ষেত্রে অন্য কন্ডোম ব্যবহার করুন।তাছাড়া আজকাল মেয়েদেরও কন্ডোম বাজারে চলে এসেছ।যা তুলনা মূলক ভাবে দামে একটু বেশি।তবে একের অধিকবার ব্যবহার করা যায়।

ইনট্রাইউটেরাইন: ইনট্রাইউটেরাইন কনট্রাসেপটিভ (কপার টি) তাঁরাই ব্যবহার করেন,যাঁদের একটি বা দুটি সন্তান হয়ে গিয়েছে।

তবে কপার টি তুলনামূলক ভাবে নারী শরীরের পক্ষে কম ক্ষতিকর।কিন্তু যোনি পথের বাইরে তার চিহ্ন থেকে যায়।তাহলেও গর্ভনিরোধক হিসাবে নারী শরীরের পক্ষ্যে কপারটি সবথেকে সেফ।অবস্থান গত সুবিধার জন্য কপারটি মহিলাদের প্রথম পছন্দরের জন্ম নিরোধক হওয়া উচিত কিন্তু অনক মেয়েডের কপার টি তে অশ্বস্তি হয় বলে তাঁরা এটা পছন্দ করেন না।কারণ এটা যোণি ছিদ্র পথে একটি বাঁধা হিসাবে থাকে।অনেকের ক্ষেত্রেই এলার্জি জনিত সমস্যাও দেখা যায়।তাই আপনার গর্ভ নিরোধক ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নেটএন বা ডিপোপ্রোভেরা:
নেটএন বা ডিপোপ্রোভেরার মতো হরমোন জনিত গর্ভ নিরোধক রয়েছে কিন্তু এসবের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।নেটএন বা ডিপোপ্রোভেরা হরমোনাল টাবলেট বা ইনজেকশানটি প্রতিস্থাপন করা হয় মেয়েদের শরীরে।তবে মেল কন্ডোম ছাড়াও পুরুষদের জন্য বিকিল্প কোন স্বাস্থ্যসন্মত ব্যবস্থা নেই।

মাইরিয়া:
এটি একবার ব্যবহার করলে মোটামুটি পাঁচবছর পর্যন্ত প্রেগনেন্সি আসে না।তবে এর ফলে মাঝে মধ্যে অনিয়মিত পিরিয়ডস হতে পারে সেক্ষেত্রে অনেক মহিলারাই ভাবতে পারেন তিনি বোধ হয় প্রেগনেন্ট হয়ে গেলেন।তবে সঠিক কাউনন্সেলিংয়ের মাধ্যমে এই ভয় ভীতি লাটিয়ে ওঠা সম্ভব।




আপনার মন্তব্য

আলোচিত