সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ মার্চ, ২০২০ ২০:৪৬

করোনাভাইরাস : সব কিছু প্রাণঘাতী নয়

করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। এর মধ্যে সব কিছু প্রাণঘাতী নয়। বর্তমানে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস তেমনই একটি ভাইরাস। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সচেতনতা হচ্ছে একমাত্র পথ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর লক্ষণ প্রকাশে সর্বোচ্চ ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

যেসব লক্ষণে বুঝবেন কোভিড-১৯
১. শুকনো কাশির সঙ্গে জ্বর
২. শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা।
৩. মাংসপেশিতে ব্যথা থাকতে পারে।
৪. সংক্রমণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে।
৫. এক সপ্তাহের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

নতুন করোনাভাইরাসে যাদের ঝুঁকি বেশি
১. নতুন করোনাভাইরাসে হচ্ছে ফ্লু–জাতীয় রোগ। কিডনি, হার্ট বা লিভার ফেইলিউর। আগে থেকেই যাদের অসুস্থ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, এমন ব্যক্তির এ রোগের ঝুঁকি বেশি।
২. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের রোগীরা এই রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
৩. গর্ভবতী নারীদের করোনাভাইরাসে ঝুঁকি বেশি।
৪. নতুন করোনাভাইরাসে প্রবীণদের মৃত্যুর হার বেশি। শিশুদেরও ঝুঁকি কম নয়।

সংক্রমণ ঠেকানোর উপায়
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে।

১. হাঁচি-কাশির মাধ্যমে যেহেতু রোগটি ছড়ায়। তাই আক্রান্ত, সন্দেহজনক আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসাই ভালো।
২. নিজেকে নিরাপদ রাখতে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত যে কোনো ব্যক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।
৩. আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিচর্যাকারীর মুখে বিশেষ মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। নাক-মুখ না ঢেকে হাঁচি-কাশি দেবেন না। ব্যবহৃত টিস্যু বা রুমাল যথাযথ জায়গায় ফেলতে হবে।
৪. সাবান-পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
৫. সিঁড়ির রেলিং, দরজার নব, পানির কল, কম্পিউটারের মাউস বা ফোন, গাড়ির বা রিকশার হাতল ইত্যাদি ধরলে সঙ্গে সঙ্গে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
৬. মাছ-মাংস ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা

আপনার মন্তব্য

আলোচিত