সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ আগস্ট, ২০২০ ১৩:২৯

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলেন বঙ্গমাতা: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। সেই স্বাধীনতা অর্জনে লাখো শহীদ রক্ত দিয়েছেন। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের জন্য, বাংলাদেশ নামে একটি দেশ প্রতিষ্ঠার জন্য, একটি জাতি গড়ে তোলার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে সংগ্রাম, তাতে যিনি প্রেরণা যুগিয়েছেন তিনি আমার মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।

শনিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সঠিকভাবে ধারণ করেছিলেন আমার মা। দেশের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়ে গিয়েছেন তিনি।’

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সহযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন বঙ্গমাতা। মা পরিবারকে দেখে রেখেছেন। এতে আমার বাবা দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।’

চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে বঙ্গমাতা নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উল্লেখ করে দেশের নারীদের তাকে অনুসরণ করার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু-কন্যা।

একাত্তরের ১৫ আগস্টের ঘটনা স্মরণ করে তিনি বলেন, যখন জাতির পিতাকে হত্যা করা হলো, তখন তিনি সেখানে যেতে চেয়েছিলেন। ঘাতকদের কাছে তিনি জীবন ভিক্ষা চাননি। কিন্তু সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু করোনা সেটা বাধাগ্রস্ত করল। এতে কিছুই করার নাই, সারা বিশ্বেই এই সমস্যা। অবশ্যই আমরা এর উত্তরণ ঘটাব। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ব। আমার মায়ের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।’

বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের আর্থিক সাহায্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দুঃস্থ নারীদের সেলাই মেশিন ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ প্রদান করা হবে।

১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতার হত্যাকারীদের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান তিনি। ইতিহাসে বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কেবল একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিণীই নন, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম এক নেপথ্য অনুপ্রেরণাদাত্রী। বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। ছায়ার মত অনুসরণ করেছেন প্রাণপ্রিয় স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে। এই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য অবদান রেখেছেন। জীবনে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছেন, এজন্য অনেক কষ্ট-দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত