সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ আগস্ট, ২০২০ ১৪:৩৭

দুর্নীতি মামলায় এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) ৪ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১৮ আগস্ট দিন ঠিক করে দেন।

অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার আসামিদের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল।

এসকে সিনহাসহ আট আসামি পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার এ মামলার বিচার শুরু করেন বিচারক। সেই সঙ্গে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে পুনরায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার শুনানিকালে এ মামলার জামিনে থাকা আসামি ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীকে (বাবুল চিশতী) কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। তারা সবাই অভিযোগ অস্বীকার করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার অন্য পলাতক আসামিরা হলেন সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুত্ফুল হক, টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, সান্ত্রী রায় ওরফে সিমি ও তার স্বামী রণজিৎ চন্দ্র সাহা।

গত বছর ১০ ডিসেম্বর মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর আগে একই বছরের ১০ জুলাই দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংকে শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার নামে মঞ্জুরকৃত ঋণের ৪ কোটি টাকা সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার সুপ্রিম কোর্ট সোনালী ব্যাংক শাখার হিসাবে জমা হয়। সঞ্চয়ী হিসাব নং ৪৪৩৫৪৩৪০০৪৪৭৫-এ জমা হওয়ার পর ওই টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর করে উত্তোলন করা হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যদের লাভবান করতে এ ধরনের অপরাধ করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, তারা অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে ৪ কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে নিজ আত্মীয়র নামীয় হিসাবে হস্তান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। পরে সেই অর্থ নিজেদের ভোগদখলে রেখে তার অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান গোপন বা এর ছদ্মাবরণে পাচার করেছেন মর্মে তদন্তে প্রমাণিত হয়, যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত