সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৩:১৬

মসজিদে বিস্ফোরণ: আইসিইউতে থাকা কেউই শঙ্কামুক্ত নন

নারায়ণগঞ্জের তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার নয়দিন অতিবাহিত হলেও আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা পাঁচ জনের কারোই অবস্থারই কোনো উন্নতি হয়নি।

শনিবার (১র সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি জানিয়েছেন,  ‘চিকিৎসাধীন পাঁচজন আইসিইউতে আছেন। আইসিইউতে থাকা প্রত্যেকেরই অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে এবং সবার শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় সবার অবস্থা সংকটাপন্ন। তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন।’

তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে দগ্ধদের যে চিকিৎসা হয়, এখানেও একই ধরনের চিকিৎসা হচ্ছে। তাদের চিকিৎসার কোনো ঘাটতি হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী সব সময় দগ্ধদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। গতকাল (শুক্রবার) রাতেও তিনি ফোনে খবর নিয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে নারায়ণগঞ্জের মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩৭ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট ভর্তি ছিলেন। এদের মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারলেও বাকি ৩১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। এখনো যারা ভর্তি আছেন তাদের সুস্থতায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন রোগীর স্বজনরা।

বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন- ময়মনসিংহের ত্রিশালের আবদুর রহমানের ছেলে ফরিদ (৫৫), পটুয়াখালীর চুন্নু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ কেনান (২৪), নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নিউখানপুর ব্যাংক কলোনির আনোয়ার হোসেনের ছেলে রিফাত (১৮), শরীয়তপুরের নড়িয়া কেদারপুর গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে আবদুল আজিজ (৪০) এবং নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসিরহাট গ্রামের আবদুল আহাদের ছেলে আমজাদ (৩৭)।

প্রসঙ্গত,  শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজের সময় ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটে। ফরজ নামাজের মোনাজাত শেষে অনেকে সুন্নত ও অন্য নামাজ পড়ছিলেন। তখনই মসজিদটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের প্রায় সবাই দগ্ধ হন। এতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৩১ জন মুসল্লি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত