সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০১:৪৩

ফিরলেন বাবুনগরী

গত ১৭ জুন দারুল উলূম মঈনূল ইসলাম মাদ্রাসার (হাটহাজারী মাদ্রাসা) সহকারী পরিচালকের পদ থেকে মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল শেখ আহমদকে। গত শুক্রবার আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর জুনায়েদ বাবুনগরীকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাকে আগের দায়িত্ব না দেওয়া হলেও দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস ও শিক্ষা সচিবের দায়িত্ব।

মৃত্যুর একদিন আগে শাহ আহমদ শফীর পদত্যাগে শূন্য দারুল উলূম মঈনূল ইসলাম মাদ্রাসার (হাটহাজারী মাদ্রাসা) মহাপরিচালক বা মুহতামিম পদে কাউকে নিয়োগ করা হয়নি।

শনিবার আহমদ শফীর দাফনের পর হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির ১১ সদস্যের ৮ জন বৈঠকে অংশ নেন। শুরা সদস্য মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।

তিনি জানিয়েছেন, মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান মুফতি আবদুস সালাম, সহকারী পরিচালক মাওলানা শেখ আহমদ এবং মাওলানা ইয়াহইয়াকে নিয়ে গঠিত কমিটি। তারা মাদ্রাসা পরিচালনা করবেন। কেউ এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের সবার সমান অধিকার থাকবে।

দু'দিনের ছাত্র আন্দোলনের পর গত বুধবার ছেলে আনাস মাদানীকে শিক্ষা সচিব পদ থেকে সরিয়ে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করেছিলেন আহমদ শফী।

আহমদ শফী আমৃত্যু মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস ছিলেন। মাওলানা বাবুনগরী এ পদেও দায়িত্ব পালন করবেন।

আহমদ শফীর উত্তরাধিকার নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিরোধ চলছে। বাবুনগরীর পর তার সমর্থকদেরও মাদ্রাসা থেকে একে একে সরানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। গত বুধবার মাদ্রাসায় আন্দোলনে নামে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। আনাস মাদানীর কক্ষ ভাঙচুর করে। পরের দিন মহাপরিচালকের দায়িত্ব ছাড়েন আহমদ শফী। এর ২০ ঘণ্টা পর তার মৃত্যু হয়।

আহমদ শফী আমৃত্যু আল হাইয়াতুল উলালিল জামিয়াতুল কাওমিয়ার চেয়ারম্যান এবং বেফাকুল মাদ্রাসিল আরাবিয়ার (বেফাক) সভাপতি ছিলেন। হেফাজত আমির ছাড়াও তার মৃত্যুতে শূন্য এসব পদে কারা দায়িত্ব পাবেন তা নিয়ে বিরোধ রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত