সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ নভেম্বর, ২০২০ ১১:৪০

২২ দিন বন্ধের পর ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা উঠলো

প্রজনন বাড়াতে টানা ২২ দিন বন্ধ থাকার পর ইলিশ মাছ ধরায় আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল। এখন থেকে জেলেরা স্বাভাবিক সময়ের মতোই ইলিশ মাছ ধরতে পারবেন।

গত ১৪ অক্টোবর থেকে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) থেকে জেলেরা ফের ইলিশ ধরতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ মাছের প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসাবে গত ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি করা, পরিবহন করা, বাজারজাতকরণ, এমনকি ইলিশ মাছ রয়েছে— এমন জলাশয়ে অন্য মাছ ধরাও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সারাদেশে মাছের হাট ও আড়তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়েছে। ইলিশের প্রজননে যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য  পুলিশ, র‌্যাব, নৌপুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে মনিটরিং করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি টিম কাজ করেছে।

পাশাপাশি ইলিশ মাছ রয়েছে— এমন ৩৬ জেলায় প্রশাসন ও জেলা-উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে যথাযথ অভিযান, মনিটরিং চলছে কি না, তা দেখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ২২ কর্মকর্তাকে দেশের বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর ঢাকা মহানগরীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, আড়ত, বাজার, সুপারশপ ও ইলিশ মাছ পাওয়া যায়— এমন স্থানে প্রতিদিন নজরদারি ও অভিযান পরিচালনা করা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে মৎস্য অধিদফতর থেকে আটটি মহানগর মনিটরিং টিম গঠন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন প্রতিবছরের মতো এবারও জেলেদের প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। আর সে প্রণোদনা মনিটর করতেও পাঁচটি বিভাগীয় মনিটরিং টিম কাজ করেছে। পাশাপাশি এসব টিম মাছ ধরা বিক্রি, মজুত বিষয়েও মনিটরিং করছে। এতকিছুর পরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় এ সময়ে অনেক জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে।

১৯৫০ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী প্রতিবছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে একটি নির্দিষ্ট সময় ইলিশ মাছ ধরার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আর ১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলো সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে শাস্তিও দ্বিগুণ হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত