সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ মার্চ, ২০২১ ১৯:০১

এটা রক্তের সম্পর্ক, কেউ ভাঙতে পারবে না: মোদি

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পাশাপাশি ভারতীয় সেনাদের জীবন উৎসর্গের বিষয়টি তুলে ধরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এ সম্পর্ক রক্তের। এটা কেউ ভাঙতে পারবে না।

শুক্রবার বিকেল জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মোদি বলেন, ‘বাংলাদেশে স্বাধীনতা সংগ্রামী আর ভারতীয় সেনাদের রক্ত এক বয়েছে। এটি এমন এক সম্পর্ক যা কোনোভাবেই ভাঙবে না। কোনো কূটনীতির শিকার হবে না।

‘এ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর আর ভারতের ৭৫ বছর এক সঙ্গেই এসেছে। এই দুই দেশের জন্যই একবিংশ শতকের আগামী ২৫ বছর অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের লক্ষ্য ও চ্যালেঞ্জ এক। মনে রাখতে হবে, ব্যবসা বাণিজ্যে যেখানে আমাদের সম্ভাবনাগুলো একই রকম, সেখানে সন্ত্রাসবাদের সংকটও একই রকম।’

মোদি জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া ভারতীয় সেনাদের অনেকেই তার সফরে সঙ্গী হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম তার জীবনের প্রথম আন্দোলনগুলোর একটি বলেও জানান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।

‘অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে একটা বিষয় মনে করিয়ে দেব। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম আমার জীবনের প্রথম আন্দোলনের একটি। আমার বয়স তখন ২০-২২ হবে। তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সত্যাগ্রহ করেছিলাম। আন্দোলনের সমর্থন থাকায় গ্রেপ্তারও হয়েছি, জেলেও গিয়েছি।’

মোদি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যতটা ক্ষুধা এখানে ছিলো, ততটা ওখানেও (ভারতে) ছিলো। পাকিস্তানি সেনারা যে জঘন্য অপরাধ করেছিলো তার ছবি দেখে কয়েক রাত পর্যন্ত ঘুমাতে পারতাম না।’

এ সময় বাংলায় ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা, আমরা তোমাদের ভুলবো না’ আবৃত্তি করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তানের নিপীড়নের বিষয়টি তুলে ধরে মোদি বলেন, ‘একটি সরকার নিজের নাগরিকদের হত্যা করছিল। তাদের পরিচয়কে মুছে ফেলার চেষ্টা করছিল। অপারেশন সার্চ লাইটের বিষয়ে বিশ্ব ততটা আলোচনা করেনি, প্রকৃতপক্ষে যতটা হওয়া উচিত ছিল।

‘বাংলাদেশিদের আশার আলো ছিল বঙ্গবন্ধু। তার সাহস তার নেতৃত্ব এটা নিশ্চিত করেছিল যে, কোনো শক্তি বাংলাদেশকে গোলাম বানিয়ে রাখতে পারবে না।’

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের অংশ বিশেষ তুলে ধরে মোদি বলেন, “তিনি বলেছিলেন ‘এবারের সংহগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তার নেতৃত্বে এখানকার সব অবাল বৃদ্ধ বনিতা একসঙ্গে মুক্তিবাহিনী তৈরি করে। এজন্যই আজ তার আদর্শ মনে রাখার দিন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত