সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ এপ্রিল, ২০২১ ২০:১৯

লকডাউনে পুঁজিবাজারে লেনদেন ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে’

সোমবার থেকে লকডাউন শুরু হলে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে কি না, তা নির্ভর করছে ব্যাংকের ওপর।

সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউনের বিষয়ে বক্তব্য আসার পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে এই ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজার চালু থাকবে। তবে বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ার কেনাবেচার অর্ডার দিতে হবে ব্রোকারেজ হাউজে না গিয়ে।’

করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলার কারণে গত সোমবার থেকে জনসমাগম কমিয়ে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয় সরকার। তবে শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন এক সপ্তাহ লকডাউনের সিদ্ধান্ত এসেছে। এ সময় কী কী খোলা থাকবে, কীভাবে খোলা থাকবে, সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরে জানাবে।

সাপ্তাহিক ছুটির দ্বিতীয় দিনে এই বক্তব্য আসার পর অনেক কিছুই এখনও অস্পষ্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক সপ্তাহের লকডাউনে ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকবে, নাকি খোলা থাকবে; খোলা থাকলেও কতক্ষণ-কীভাবে লেনদেন হবে-এ সব বিষয়ে জানা যাবে রোববার।’

সকালেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে শনিবার পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ মহামারিকালসহ যে কোনো সময় ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারের সকল লেনদেন চালু থাকবে।’

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘অলরেডি ম্যাসেজ একটি পেয়েছেন ডিএসই ও সিএসই থেকে। আমরা চাচ্ছি এই সময়টায় মানুষ ব্রেকারেজ হাউজে না এসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন করুক।’

ডিটিজাল পদ্ধতি মানে কী- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনলাইনে লেনদেন করবে, ফোনে অর্ডার দেবে, নয় মোবাইল অ্যাপ ইউজ করবে।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা একটু ভালো করে বলুন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, আমরা মার্কেট খোলা রাখব। ব্যাংক থাকলে লেনদেন চালু থাকবে।’

গত সোমবার ১৮ দফা নির্দেশনা জারির পর থেকেই পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধের গুজব শুরু হয়। তখনও বিএসইসি ও ডিএসই থেকে ব্যাংক চালু থাকলে পুঁজিবাজার চালু থাকার কথা জানানো হয়।

গত বৃহস্পতিবার বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত–উল-ইসলাম জানান, করোনা মহামারিতে পুঁজিবাজারের লেনদেন বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। বরং এই সময়ে কীভাবে লেনদেন বাড়ানো যায় সে পরিকল্পনা করছে কমিশন।

গত বছর করোনা সংক্রমণ ধরার পড়ার পর পুঁজিবাজারে ধসের এক পর্ায়ে লেনদেন স্থগিত করে দেয়া হয়।

২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি শুরু হলে ব্যাংক চালু থাকলেও বন্ধ থাকে পুঁজিবাজার। লেনদেন স্থগিত হওয়ায় বিপাকে পড়ে মার্জিন ঋণ নিয়ে যারা শেয়ার কিনেছে, তারা। কারণ, শেয়ার কেনাবেচা বন্ধ থাকলেও দিন হিসেবে সুদ যোগ হতে থাকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত