সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ নভেম্বর, ২০১৫ ০১:০০

জঙ্গি মামলায় গ্রেফতারকৃতদের জামিন না দেওয়ার অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

জঙ্গি মামলায় গ্রেফতারকৃতদের অল্প সময়ের মধ্যেই জামিন পাওয়ার বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার দশম জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে কামাল আহমেদ মজুমদারের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক সময় আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ মাসের পর মাস দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। অনেক টাকা খরচ হয় এদের (জঙ্গি) তথ্য বের করতে। তারপর এদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করার পর হয়তো সে অস্ত্র, বিস্ফোরক বা খুনের মামলার আসামি। ৬ মাস ১ বছর চেষ্টা করে এদেরকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করলো, তারপরই দেখা যায় ১৫ দিনের মধ্যে এরা জামিন পেয়ে বহাল তবিয়তে আবার চলে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সত্যিই খুব দুর্ভাগ্যের। তাদের পক্ষে একজন আইনজীবী থাকবে এটা স্বাভাবিক। বিচার বিচারক করবেন। আমাদের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন। স্বাধীন বলেই কিন্তু তারা এ ভাবে জামিন দিতে পারছেন। আমিও সংসদ সদস্যের মতো আহ্বান জানাবো জামিন যখন দিচ্ছেন তখন অন্তত এরা যে দোষটা করেছে, এরা যে সমস্ত অপরাধ করেছে অন্ততপক্ষে সে অপরাধের মাত্রাটা সম্পর্কে একটু যদি চিন্তা করে তারপর তাদের জামিনের ব্যবস্থা করেন তাহলেই কিন্তু হয়। এই জামিন দেওয়া থেকে বিরত থেকে এদের সাজাটা যেন নিশ্চিত হয় বা এদের বিচারকার্য যাতে পরিচালিত হয়, সেদিকে যদি বিচারকগণ একটু বেশি মনোনিবেশ করেন তাহলে কিন্তু দেশকে অনেক রকম ক্রাইমের হাত থেকে বাঁচানো যায়। সত্যি খুব দুঃখজনক ৬ মাস বা ১ বছরের প্রচেষ্টা ১৫ দিনের মধ্যে শেষ।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের তো কিছু করার থাকে না। পুলিশ বা কত করবে? তারা তো ধরছে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধরছে। এ ভাবে তাদেরকে জামিন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য জনমত সৃষ্টি হওয়া উচিত। আমাদের তো সন্ত্রাস দমন আইন আছে। সেখানে দেখা যায় সন্ত্রসীরা নানা অজুহাতে বেরিয়ে যাচ্ছে। এ রকম যেন না হয় সে ব্যাপারে বিচার বিভাগের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে। এ ব্যাপারে আরেকটু সচেতন হন। যারা উকিল বা এ্যাডভোকেট তারা তো এ্যাডভোকেট হবেনই। কিন্তু দেশকে এবং দেশের মানুষের নিরাপত্তার কথাটা সকলকেই চিন্তা করতে হবে। এর বেশি বোধহয় আমি আর কিছু বলতে পারছি না। দোষ সব আমাদের উপর আসে। বিচার না পেলে সরকারের দোষ। কিন্তু যখন জামিন পেয়ে যায়, তখন কাকে দোষ দেবেন? সে দোষও আসে সরকারের উপরে। আগামীতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত