সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ আগস্ট, ২০২১ ১৭:১৩

‘জিয়ার লাশ রাঙ্গুনিয়া পাহাড়ে নিয়ে গিয়েছিল কে?’

চন্দ্রিমা উদ্যানে সমাধিস্থলে জিয়াউর রহমানের মরদেহ নেই বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর এ নিয়ে রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক থামছে না।

এই প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য রেখেছেন, তার জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের লাশ কফিনে ছিল বলে প্রয়াত সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সাক্ষী মেনেছিলেন ফখরুল। জবাবে কাদের বলেছেন, কফিন বহন করেছেন এরশাদ। কিন্তু তাতে লাশ ছিল কি না, তা বলেননি।

সোমবারে সকালে ঢাকার সরকারি বাসভবন এক ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা।

বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ২৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। তিনি বলেন, ‘আজকে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার কবরে গিয়ে যে মারামারি করল বিএনপি, তারা জানে না যে সেখানে জিয়ার কবর নাই, জিয়া নাই ওখানে, জিয়ার লাশ নাই? তারা তো ভালোই জানে। তাহলে এত নাটক করে কেন? খালেদা জিয়াও ভালোভাবে জানে।’

দুই দিন পর মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ দাফন করা হয়েছিল। এটা তো চাঁদের আলোর মতো পরিষ্কার। এর চেয়ে বড় সত্য আর কিছু হতে পারে না। কারণ তৎকালীন সেনা অধিনায়ক জেনারেল এরশাদ নিজেই জিয়াউর রহমানের লাশ বহন করেছেন।’

কাদের বলেন, ‘প্রশ্ন করলে মূল প্রসঙ্গ এড়িয়ে সামঞ্জস্যহীন জবাব দেন। জিয়াউর রহমানের লাশ প্রসঙ্গে জেনারেল এরশাদ লাশ কাঁধে বহন করেছেন বলে উত্তর দেন। …জেনারেল এরশাদ কফিন বহন করেছেন। কিন্তু ভেতরে জিয়ার লাশ আছে কি না সেটা তো তিনি কখনও বলেননি।’

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানে নিহত হন জিয়াউর রহমান।


ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে তার লাশ রাঙ্গুনিয়া পাহাড়ে নিয়ে গিয়েছিল কে?’

ফখরুলের উদ্দেশে রাখা প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন’- বলেও মন্তব্য করেন কাদের।

চন্দ্রিমায় সেই সংঘর্ষ প্রসঙ্গ

গত ১৭ আগস্ট চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতা।

বলেন, ‘পুলিশ বিএনপির কর্মসূচি পালনে সহযোগিতা করতে চেয়েছে। তারা কোনো আইন মানতে চায় না। তারা চায় সহিংসতা। সংঘাতের মাধ্যমে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা তারা সেদিনও করেছে।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু কর্মসূচিতে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের উপাদান যুক্ত হলে জনস্বার্থে পদক্ষেপ নিতে হয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। আর তখন বলে সরকার বাধা দিচ্ছে। তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করে। এমনকি মেট্রোরেলের গাড়ি পর্যন্ত তারা ভাঙচুর করেছে।’

সরকার হটাতে বিএনপি আন্দোলনের যে হুমকি দিচ্ছে, সেই প্রসঙ্গেও বক্তব্য রাখেন কাদের।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির জোট আন্দোলন নয়, বরং জনগণের ভোগান্তি বাড়াতে পারে।

‘শীত-গ্রীষ্ম পেরিয়ে এখন শরতে এসে সরকার হটানোর দিবাস্বপ্ন আবারও দেখছে। কিন্তু আন্দোলনের এখন আর কোনো অবজেকটিভ কন্ডিশন বিরাজমান নেই, তাদের সাবজেকটিভ কন্ডিশন কী আছে তা তো গত এক যুগ ধরে মানুষ দেখেছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত