সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ অক্টোবর, ২০২১ ১১:২০

পিইসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন বার্ষিক পরীক্ষায়

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। পিইসির পাশাপাশি ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির এই দুই ধারার শিক্ষার্থীদের কয়েকটি বিষয়ে সীমিত সিলেবাসে বার্ষিক ‘মূল্যায়ন’ হবে।

এছাড়া তাদেরকে ইতঃপূর্বে ‘বাড়ির কাজ’ দেয়া হয়েছিল। এসবের ভিত্তিতে পরবর্তী স্তরে তাদেরকে উত্তীর্ণ করা হবে। এই দুই ধারায় প্রায় ৩৩ লাখ পরীক্ষার্থী আছে।

ইতঃপূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অষ্টম শ্রেণির সমাপনী বা জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষাও বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া তিন বিষয়ে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে তাদেরকে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার সিদ্ধান্তও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে জানানো হয়েছে। এই স্তরে দুই ধারায় প্রায় ২২ লাখ পরীক্ষার্থী আছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দু’একদিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবেন। এর আগে গত ৭ অক্টোবর পিইসি-ইইসি বাতিলের প্রস্তাবের সার-সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছিল। এতে পরীক্ষা দুটি বাতিলের পক্ষে যুক্তি এবং শিক্ষার্থীদের কীভাবে লেখাপড়া করানো হয়েছে ও মূল্যায়ন করা হবে তা উল্লেখ করে বলা হয়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং শ্রেণিকক্ষে শিখন-শেখানো কার্যক্রম বিবেচনাক্রমে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের পিইসি ও ইইসি পরীক্ষা গ্রহণের পরিবর্তে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে তাদেরকে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীতকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার গত বছরের পিইসি, ইইসি, জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষাও বাতিল করেছিল। আর ইতোমধ্যে ঘোষণা এসেছে, ২০২৩ সাল থেকে এই চারটি পরীক্ষা থাকবে না। ওই বছর নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর সচল হয়েছে সরাসরি ক্লাস পাঠদান কার্যক্রম। তবে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হয়নি। গত তিন মাস সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়ানো হচ্ছে। প্রতিদিন তিনটি বিষয়ে ছয়দিন করে ক্লাস করছে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।

প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সরাসরি ক্লাস শুরু হয়েছে। প্রথমে সপ্তাহে একদিন ক্লাস হয়। করোনা পরিস্থিতি উন্নতির পর এখন সপ্তাহে দু’দিন করে ক্লাস হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা না হলেও শিক্ষার্থীরা সনদ পাবে। তাতে গ্রেড উল্লেখ থাকবে না। একইভাবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও সনদ দেওয়ার চিন্তা আছে বলে জানা গেছে। সেই সার্টিফিকেট নিয়ে শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত