সিলেটটুডে ডেস্ক:

২৩ অক্টোবর, ২০২১ ০২:১১

ইকবালের পেছনে মাস্টারমাইন্ড কে?

দুর্গাপূজায় সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের একটি মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার পর ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। ওই মণ্ডপের পাশাপাশি আক্রান্ত হয় নগরীর আরও বেশ কিছু পূজামণ্ডপ। পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়।

পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার তাকে নিয়ে কুমিল্লায় নিয়ে আসে পুলিশের একটি দল। এরপর অস্থায়ী পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে ইকবাল হোসেন। কার নির্দেশে এই কাজ করেছেন, তা এখনও ইকবাল জানাননি।

তবে স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ ঘটনায় ইকবাল 'ঘুঁটি' হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। তার পেছনে অন্য কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মূল ভূমিকা পালন করেছে।

পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বলছেন, ইকবালকে ব্যবহার করে নেপথ্যে যারা ভূমিকা রেখেছে, এখন তাদের শনাক্ত করার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ইকবালের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে অনেকের মুখোশ উন্মোচন হবে।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল কে এম আজাদ বলেন, নাটকের প্রথম পর্বে ছিল ইকবাল। পেছন থেকে আরও যারা এই নাটকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তারা মূলত আসল 'খেলোয়াড়'।

কোরআন রাখার কথা ‘স্বীকার করেছেন’ ইকবাল: কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন ইকবাল হোসেন। কুমিল্লা শহরে পুলিশ লাইনে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইকবাল কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা। তিনি জানান, মণ্ডপে কোরআন রাখার পর হনুমানের মূর্তি থেকে গদা সরিয়ে নেয়ার কথাও পুলিশের কাছে বলেছেন ইকবাল। তবে কার নির্দেশে এই কাজ করেছেন, তা এখনও ইকবাল জানাননি। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তারের পর থেকেই ইকবাল অসংলগ্ন আচরণ করছেন। কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ লাইনে নেয়ার পর থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ইউনিট। কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ইকবালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখান থেকে তাকে শুক্রবার দুপুরে নেয়া হয় কুমিল্লা পুলিশ লাইনে।

তিন বন্ধুর কৌশলে ধরা কুমিল্লার ইকবাল: সমুদ্রসৈকতে আড্ডায় মেতেছিলেন তিন বন্ধু। হঠাৎ একজন গলা ছেড়ে গান ধরেন। তার সঙ্গে গাইতে থাকেন বাকিরাও।পরিচিত সেই মহলে আগমন ঘটে এক আগন্তুকের। তিনিও সুর মেলাতে থাকেন। বাধা না দিয়ে আড্ডা শেষে হোটেলের রুমে ফেরেন বন্ধুরা। রাতে টেলিভিশনের পর্দায় ও ফেসবুকে ভেসে ওঠা এক ব্যক্তির ছবিতে আটকে যায় তাদের দৃষ্টি।মনে সন্দেহ দানা বাঁধলে পরদিন তারা আবার যান সৈকতে। মনে মনে খুঁজতে থাকেন ওই ব্যক্তিকে। একপর্যায়ে লোকটিকে পেয়েও যান তারা। ফেসবুকে পাওয়া ছবির সঙ্গে তার চেহারার মিল দেখে গড়ে তোলেন সখ্য। কথা বলার ফাঁকে জেনে নেন তার নাম। নাম জানার পর তারা টেনে আনেন কুমিল্লার প্রসঙ্গ। লোকটি তখন স্বীকার করেন, তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি দুর্গাপূজার সময় পবিত্র কোরআন রাখেন মণ্ডপে। সব হিসাব মিলে গেলে তার সঙ্গে ছবি তোলেন বন্ধুরা। সেই ছবি পাঠানো হয় পুলিশ কাছে। এরপর পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় সেই ব্যক্তিকে। এভাবেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ইকবাল হোসেন, যিনি কুমিল্লার ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন।

সিসিটিভিতে কী আছে: এখন পর্যন্ত ঘটনার আশপাশের ১২টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা সংগ্রহ করেছেন। সমকালের হাতে আসা কয়েকটি ফুটেজ বিশ্নেষণ করে দেখা যায়, ১৩ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে দারোগাবাড়ির মাজারসংলগ্ন মসজিদে প্রবেশ করেন এক যুবক। কথা বলেন মসজিদে থাকা একজনের সঙ্গে। রাত ১২টায় সেখান থেকে চলে যান। ২টা ১০ মিনিটে আবার মসজিদে যান তিনি। এ সময় বইয়ের মতো দেখতে কিছু একটা নিয়ে নাড়াচাড়া করেন। এরপর বই আকৃতির কিছু একটা হাতে নিয়ে পাশের দারোগাবাড়ি মাজার গেট থেকে পুকুরপাড় দিয়ে এগিয়ে যান। পুলিশ বলছে, ওই যুবক ইকবাল। ফুটেজে বইয়ের মতো যা দেখা যায়, তা কোরআন শরিফ। অন্য একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হাতে হনুমানের গদা কাঁধে নিয়ে দিঘিরপাড়ে ঘোরাফেরা করছেন ইকবাল। তবে মণ্ডপে সিসিটিভি না থাকায় কোরআন রাখার চিত্র দেখা যায়নি। পুলিশের ভাষ্য, কোরআন শরিফ মন্দিরে রেখে গদা নিয়ে বের হন ইকবাল। স্থানীয়রা জানান, নানুয়ারদীঘির অদূরে মাজারটির নাম শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরি (রা.)। মসজিদ থেকে মণ্ডপ পর্যন্ত হেঁটে যেতে সর্বোচ্চ মিনিট তিনেক লাগে।

কে এই ইকবাল: কুমিল্লার ঘটনায় মোস্ট ওয়ান্টেড ইকবাল নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগরসংলগ্ন দ্বিতীয় মুরাদপুর লস্কর পুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা। তার বাবা নুর আহমেদ আলম পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে ইকবাল বড়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে জানান, নেশার টাকার জন্য পরিবারের সদস্যদের ওপর প্রায়ই মারমুখী হতেন ইকবাল। তিনি কখনও বাসচালকের সহকারী, কখনও রংমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। প্রথম বিয়ে করেছেন বরুড়ায়। আয়েশা বেগম নামের সেই নারীর সঙ্গে পাঁচ বছর আগে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সেই সংসারে তার এক ছেলে রয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ে করেন চৌদ্দগ্রামের কাদৈ গ্রামের রুমি আক্তারকে। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীও তাকে ছেড়ে গেছেন। আদালতে মামলাও করেছেন। সেই সংসারে তার একটি মেয়ে আছে।

বিচার চান মা: ইকবালের মা বিবি আমেনা বেগম সমকালকে বলেন, 'ইকবাল মাদকাসক্ত। সে তেল ও স্নো একসঙ্গে শরীরে মাখে। মাদকের টাকার জন্য আমাদের মারধর করত। ১০-১২ বছর আগে থেকে সে নেশা শুরু করে। পরে বাসে ও রঙের কাজ করতে দেওয়া হলেও নেশার কারণে কেউ তাকে কাজে রাখতে চায়নি।'

আমেনা বেগম জানান, মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে কিছু না বলেই কোথাও চলে যেত ইকবাল। মাজারে ঘুরত। ১১ অক্টোবর সন্ধ্যার পর বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। তিনি বলেন, আমার ছেলে যদি মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার মতো পাপ করে থাকে, তাহলে তার বিচার হওয়া উচিত। এমন কুলাঙ্গার সন্তানের জন্য সমাজে মুখও থাকে না। ইকবাল কখনও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না, তাই কোথায় আছে তাও আমি জানি না।

কুসিকের কাউন্সিলর মো. সোহেল জানান, ইকবালের পরিবার আমার কাছে ভালোভাবে পরিচিত। এ পরিবারকে মাঝেমধ্যে আর্থিক সহায়তা করি। ছেলেটির নেশার কারণে আজ এ অবস্থা হয়েছে।

ফুটেজ নিয়ে বিতর্ক: যে সিসিটিভির ফুটেজ থেকে ইকবালকে শনাক্ত করেছে প্রশাসন, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে বলছেন, কেন এই ফুটেজ পেতে এক সপ্তাহ লাগল। আবার কারও মন্তব্য, সাধারণত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ জুম হয় না। এ ক্ষেত্রে ইকবালের চলাচল অনুযায়ী ক্যামেরা নড়াচড়া করছে, জুম হচ্ছে কীভাবে? এ বিষয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, 'এই সিসিটিভি ক্যামেরা অত্যাধুনিক মুভেবল ক্যামেরা। এটি নড়াচড়া চিহ্নিত (মোশন ডিটেক্ট) করতে পারে।

তদন্তের সঙ্গে যুক্ত আরেকজন কর্মকর্তা বলেছেন, ঘটনার এক দিন পর পুলিশের হাতে এই সিসিটিভি ফুটেজ আসে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ ইকবালকে শনাক্ত করে। তবে তদন্তের স্বার্থে পুরো বিষয়টি তখনও গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজ আরও যাচাই-বাছাই ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেত পেয়ে বুধবার রাতে এটি প্রকাশ করা হয়।

দারোগাবাড়ি মাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা ইয়াছিন নূরী বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পাওয়া পুকুরটি মাজারের। এলাকার বাসিন্দা সাইদুর রহমান সোহাগ মাজারের পুকুরটি ইজারা নিয়ে মাছচাষ করছেন। সোহাগ লাকসাম উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার। ইজারাদার তার বাসা থেকে পুকুর নজরদারি করার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছেন। রাতে কেউ যেন মাছ চুরি বা ক্ষতি করতে না পারে, সে জন্য ক্যামেরা দিয়ে পুকুরে নজর রাখা হয়।

ইয়াছিন নূরী আরও বলেন, মসজিদে কোরআন শরিফ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। তবে ভবিষ্যতে এভাবে আর কোরআন উন্মুক্ত রাখা হবে না।

তার ভাষ্য, মণ্ডপে যে কোরআন পাওয়া গেছে, তা নতুন- এমন কোরআন শরিফ তাদের সংগ্রহে ছিল না।

ব্যাংক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, মাছ চুরি বন্ধ করতে তিনি বাড়ির বাইরের দিকের দোতলায় উন্নত প্রযুক্তির একটি সিসিটিভি ক্যামেরা বসান। ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলের এ ক্যামেরা প্রতি চার মিনিট পরপর মুভ করে। মূল ক্যামেরার পাশে আরও চারটি ফিক্সড ক্যামেরাও আছে। এসব ক্যামেরা বসাতে তার ৮০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। মন্দিরে ঘটনার পর তদন্ত করে দেখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব ক্যামেরার ডিভিআর বক্স (ফুটেজ সংরক্ষণস্থল) নিয়ে গেছে।

সিসিটিভি আমদানিকারকরা বলছেন, বাজারে এমন অনেক ক্যামেরা রয়েছে, যা সাধারণ ক্যামেরার চেয়ে ২০-৩০ গুণ জুম করা হয়। এর মাধ্যমে দূরের ছবিও ধারণ করা সম্ভব। অনেক ক্যামেরায় অপটিক্যাল জুম থাকায় আধা কিলোমিটার দূরের সবকিছু স্পষ্ট দেখা যায়।

ঢোকার চেষ্টা করেন আরেক মন্দিরে: তদন্ত সূত্র বলছে, নানুয়ারদীঘিরপাড়ের পূজামণ্ডপে শুরুতে ঢুকতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ইকবাল হোসেন। পূজামণ্ডপটিতে শুরুতে ইকবাল লোকজন দেখে মিশন সফল না করে ফিরে আসেন। এরপর তিনি গিয়েছিলেন ওই মণ্ডপের অদূরে দিগম্বরীতলার গুপ্ত জগন্নাথ মন্দিরে। সেখানে গেটের তালা ভাঙতে ব্যর্থ হন ইকবাল। এরপর আবার ফিরে আসেন নানুয়ারদীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে। সেখানে ওই সময় লোকজন না থাকার সুযোগ নিয়ে তিনি কোরআন শরিফ রেখে যান।

তদন্ত ও অভিযান চলছে: পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় তদন্ত ও অভিযান একযোগে চলছে। ইকবাল স্বেচ্ছায় নাকি অন্য কারও প্ররোচনায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা নিয়ে চলছে নানামুখী তদন্ত। এ ছাড়া এই ঘটনাকে পুঁজি করে বিভিন্ন গুজবকে ছড়িয়ে যারা হামলা-ভাঙচুর করেছে, তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

'ঘটনার রাতে বিদ্যুৎ ছিল না' বলে যে অপপ্রচার চালানো হয়, তা সঠিক নয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজেও বিদ্যুৎ থাকার প্রমাণ মিলেছে। ইকবালকে আটক করতে অভিযানে অংশ নেওয়া একজন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পরিচিত ও জনবহুল কয়েকটি মাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। ইকবালের পরিবার দাবি করেছে, তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে পরিবারের বাইরে অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা।

কুমিল্লার ঘটনাটিতে যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে মূল সন্দেহভাজন শনাক্ত হয়েছে, তা সামনে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। ঢাকা থেকে এটিইউর বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে এর রহস্য উদ্ঘাটনে এখনও কাজ করছে। কেন মন্দির থেকে এক ব্যক্তি এত রাতে গদা নিয়ে বের হন- এই ক্লু ধরেই সন্দেহভাজন ইকবালের বিষয়টি সামনে আসে বলে জানায় পুলিশ। তবে ইকবাল কেন, কী কারণে, কাদের প্ররোচনায় পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে মণ্ডপে রেখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত