সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৩:০১

দেশে টিকার আওতায় এসেছে ৬ কোটি ৮ লাখ মানুষ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে টিকা কার্যক্রম চলছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য মতে, দেশে সব মিলিয়ে ৬ কোটি ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি টিকা পেয়েছেন ঢাকা মহানগরীর মানুষ, আর সর্বনিম্ন সংখ্যক টিকা পেয়েছেন বান্দরবানের মানুষ।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দেশে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন সব মিলিয়ে ৪ কোটি ২ লাখ ৮৯ হাজার ৪৪৯ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ২ কোটি ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৯১৪ জন

এদিকে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৬ লাখের বেশি। সে হিসাবে দেশের মোট জনসংখ্যার ২৪ শতাংশের বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন।

অধিদপ্তর জানায়, দেশে চলমান টিকা কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীতে সবচেয়ে বেশি ৩৭ লাখ ১৪ হাজার ২৬৬ জন টিকা পেয়েছেন। সবচেয়ে কম পেয়েছেন বান্দরবান জেলায় ১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৯৫ জন।

বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানেও এগিয়ে আছে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগের ১ কোটি ১৩ লাখ ৯২ হাজার ২১৭ জন অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে অন্তত এক ডোজ টিকা পাওয়া মানুষের সংখ্যা ৭০ লাখ ৩৩ হাজার ৪১৬ জন।

এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে ২৬ লাখ ৫৩৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩০ জন, রংপুর বিভাগে ৪৬ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ জন, খুলনা বিভাগে ৫২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৯৯ জন, বরিশাল বিভাগে ২৩ লাখ ৯২ হাজার ৯৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ২২ লাখ ৪০ হাজার ১৩৫ জন এক ডোজ টিকা পেয়েছেন।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকাগ্রহীতাদের সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে সিনোফার্মের টিকা। চীনের তৈরি এই টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৮৮ হাজার ৭৭৫ জন। এছাড়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৮২ লাখ ২১ হাজার ৩১৯ ডোজ, মডার্নার ২৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৯২ ডোজ এবং ফাইজার-বায়োএনটেকের ৪ লাখ ৮১ হাজার ১৬৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও সিনোফার্মের টিকার একটি বড় অংশ বাংলাদেশ কিনেছে, বাকিটা এসেছে টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে। মডার্না আর ফাইজারের টিকার পুরোটাই কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকাদান শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল সে সময়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত