সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ২৩:০৬

মেয়েদের বিয়ের বয়স কমানো হবে না : চুমকি

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বাল্য বিবাহ রোধে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বলেছেন, বর্তমানে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর । তা কোন ভাবেই কমানো হবে না বরং আরও বৃদ্ধি করা হবে। তিনি প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা পালন করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীকে বঞ্চিত রেখে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ মিলনায়তনে দিনব্যাপী নারী উন্নয়ন ফোরামের কার্যনির্বাহী সদস্যদের খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক সম্মেলন-২০১৫-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
খুলনা বিভাগীয় স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় উপজেলা গভর্ন্যান্স প্রজেক্ট (ইউপিজিপি) এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক দীপংকর বিশ্বাস এবং বিএল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গুলসান আরা বেগম, ইউনিসেফের খুলনা আঞ্চলিক প্রধান কফিল উদ্দিন।

স্বাগত বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার।

মেহের আফরোজ বলেন, নারী ফোরাম গঠনের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের ধারায় নারীকে সম্পৃক্ত করা। মহিলা জনপ্রতিনিধিদের অব্যাহত গতিতে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, সকল বঞ্চনা সহ্য করে সামনে এগুতো হবে। কাজের আগ্রহ ও চেষ্টা থাকলে লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে।

তিনি বলেন, যে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে হবে। এ জন্য নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষা অর্জন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে।

সম্মেলনে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের বিপুল সংখ্যাক নারী উন্নয়ন ফোরামের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক কার্যক্রমে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জেন্ডার সংবেদনশীল করার উদ্দেশ্য ২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে প্রথম পর্যায়ে খুলনাসহ দেশের সাতটি জেলার ৬৫টি উপজেলা পর্যায়ে নারী উন্নয়ন ফোরাম গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগের ১০টি জেলা এবং ৫৯টি উপজেলাসহ মোট ৫১০টি নারী উন্নয়ন ফোরাম গঠন করা হয়েছে যার মাধ্যমে ১৬ হাজারের বেশি নির্বাচিত নারী জনপ্রতিনিধি যুক্ত হয়েছেন।

পরে তিনি খুলনা সার্কিট হাউজে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় বিভিন্ন সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত