সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ জুলাই, ২০২২ ১৪:০২

লোডশেডিংয়ের এলাকাভিত্তিক সূচি তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় লোডশেডিং করতেই হবে। কোথায় কখন লোডশেডিং করা হবে তা এলাকাভিত্তিক শিডিউল করে জানিয়ে দেওয়া হবে।

বুধবার (৬ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন।

এর আগে মঙ্গলবার শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি সাশ্রয় করতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং চালু করার কথা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তেল, গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়া এবং সরবরাহ সংকট দেখা দেয়ায় নিজস্ব জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখা কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের ভর্তুকি কমাতে সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে লোডশেডিংয়ের বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।

এছাড়া কোন এলাকায় কখন, কতক্ষণ বিদ্যুৎ থাকবে না তার একটা সূচি তৈরি করতেও নির্দেশ দিয়েছেন সরকারপ্রধান, যাতে মানুষের দুর্ভোগ কম হয় এবং প্রস্তুতি রাখতে পারে। একইসাথে সামনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে সঞ্চয়ী, মিতব্যয়ী ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কিছু সময়ের জন্য (প্রতিদিন) বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে বলব, যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি সংরক্ষণ করা যায়। সবার ঘরে সরকার বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছিল এবং সবাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। তার ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেল, ডিজেল, ভোজ্য তেল, সারের দাম বেড়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা জিনিসের দাম কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেছে। শুধু তাই না, যেসব শিপমেন্ট হয় তার ভাড়াও বেড়ে গেছে। যেটা হয়তো ৮০০ কোটি টাকায় পেতাম সেটা এখন ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার কোটির বেশি লেগে যাচ্ছে। আমরা এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করতাম, তার দামও বেড়ে গেছে।’

দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, বিদ্যুতে মোটা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে আমাদের। বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে খরচ, আমরা কিন্তু গ্রাহকের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত সে খরচও নিতে পারি না। কিন্তু কত ভর্তুকি আমরা দেব? যেখানে সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। তাই আপনাদের অনুরোধ করবো বিদ্যুৎ ব্যয়ে সাশ্রয়ী হবেন, সীমিত রাখবেন। তাতে আপনারও লাভ হবে। আপনার বিলও কম উঠবে।

অনেক উন্নত দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি এবং জলাশয়কে কাজে লাগানোর মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। তাই সবক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত