সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১০:২৬

স্বাধীন বাংলা বেতারের রাশিদুল হোসেন আর নেই

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক রাশিদুল হোসেন আর নেই।

সোমবার দিনগত রাত পৌনে তিনটার দিকে (মঙ্গলবার ভোর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শব্দ সৈনিক রাশিদুল হোসেন শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। কয়েক বছর ধরেই ফুসফুসের জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। বাদ আসর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিজ গ্রামে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে তাঁকে।

১৯৭১ এর ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনী যখন মুক্তিকামী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তখন বেতারের একদল কর্মী চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রকে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র’ ঘোষণা দেন। 

যে দশ সাহসী সৈনিকের উদ্যোগে স্বাধীন বাংলা বেতারের সূচনা, তারা হলেন- সৈয়দ আবদুস শাকের, বেলাল মোহাম্মদ, রাশিদুল হোসেন, আমিনুর রহমান, শারফুজ্জামান, মুস্তফা আনোয়ার, আবদুল্লাহ আল ফারুক, রেজাউল করীম চৌধুরী, আবুল কাশেম সন্দীপ ও কাজী হাবীব উদ্দিন।  রাশিদুল ছিলেন টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট

৩০ মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতারে প্রথমবারের মতো শোনা যায় ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’। ওইদিন দুপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় এ বেতারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

পরে এ কেন্দ্রের সদস্যরা দুই দলে ভাগ হয়ে  আগরতলা ও ত্রিপুরায় ছড়িয়ে পড়েন। ওই দুই জায়গা থেকেই বিভিন্ন সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতারের কণ্ঠ শোনা যেতে থাকে।

১০ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হওয়ার পর ভারত সরকারের সহায়তায় কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড থেকে সম্প্রচার শুরু করে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। অস্ত্র হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলা বেতারের শব্দসৈনিকদের কণ্ঠ যুদ্ধ চলে স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত।   

মুক্তিযুদ্ধের পর তাঁকে সহ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ১০ শব্দ সৈনিককে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ নিয়ে গেজেটও প্রকাশিত হয়।

তবে, পুরস্কার তুলে দেয়ার আগেই ঘাতকের গুলিতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধু। এরপর আর সেই পদকের বিষয়টি তোলেনি কোনো সরকার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত