নিউজ ডেস্ক

২৫ জানুয়ারি, ২০১৬ ১০:৫৩

৫ বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে উকিল নোটিশ

'ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার আইন' উপেক্ষা করে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করায় দেশের ৫ বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

রোববার সংস্থাটির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ফারহানা হক অভির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উবিনিগ ও এনভারনমেন্ট কাউন্সিল বাংলাদেশের পক্ষে বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহ দীন মালিক সম্প্রতি ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (২০০৫ সালের ১১ নং আইন) - এর ৫(১)(ঙ) ধারা মেনে চলার আহবান জানিয়ে এ নোটিশ দেন।

নোটিশ দেওয়া পাঁচ টিভি চ্যানেল হচ্ছে- এটিএন বাংলা, আরটিভি, এনটিভি, শ্যামল বাংলা মিডিয়া লিমিটেড (বাংলা ভিশন) এবং মাছরাঙ্গা কমিউনিকেশন লিমিটেড।

এসব টিভি চ্যানেল ছাড়াও তথ্য সচিব ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকেও আগামী ৩১ জানুয়ারি বিকাল ৫টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

অন্যথায়, উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করা ছাড়াও টিভি নাটকে ধূমপানের দৃশ্য প্রদর্শনের ফলে সৃষ্ট ক্ষতির সমপরিমাণ খরচ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করা হবে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ধূমপান ব্যবহার আইনের ৫(১)(ঙ) ধারা অনুযায়ী টিভি নাটক এবং টিভিতে প্রচারিত অন্য কোনো অনুষ্ঠানে ধূমপান বা তামাক সেবনের দৃশ্য প্রদর্শন বা বর্ণনা করা নিষিদ্ধ। কিন্তু আইন অমান্য করে এসব টিভি চ্যানেল ধূমপানের দৃশ্য দেখাচ্ছে। 

সব টিভি চ্যানেলকে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’ প্রতিপালন করে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানায় তথ্যমন্ত্রণালয়। 

এনভায়রনমেন্ট কাউন্সিল বাংলাদেশের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, গত বছরের ১৭ জুলাই ২৪ জুলাই পর্যন্ত সম্প্রচারিত কয়েকটি জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলে ঈদ‍ুল ফিতর উপলক্ষে প্রচারিত নাটকে ধূমপানের দৃশ্য দেখানো হয়।  

বিষয়টি পরে তথ্য মন্ত্রণালয়ে অবহিত এবং তা বন্ধকরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানায় এনভায়রনমেন্ট কাউন্সিল বাংলাদেশ। মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলে বিভিন্ন চ্যানেলকে।

কিন্তু একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ঈদ‍ুল আজহাতেও এই ৫ চ্যানেলেই আইন অমান্য করে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দৃশ্য দেখানো হয়। 

এতে আরও বলা হয়, তামাক সেবনকে বৈশ্বিকভাবেই জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচনা করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সালে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) প্রণীত হয়। 

একই বছরে এফসিটিসি-তে স্বাক্ষর ও ২০০৪ সালে অনুস্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে বঅংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি প্রণীত হয়। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত