নিউজ ডেস্ক

২৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ১০:৪৭

এবার ম্যাজিস্ট্রেটকে আটকে রেখে ঘুষ নেয়ার দায়ে বরখাস্ত ৩ পুলিশ

এবার এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তার বান্ধবীকে আটকে রেখে ইয়াবা সেবনকারী হিসেবে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে ঘুষ নিয়েছে পুলিশ। এ অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানার তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের একজন এসআই, একজন এএসআই ও অপরজন কনস্টেবল। যখন পুলিশ সপ্তাহে ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের জন্য পুরো বাহিনী সচেষ্ট, তার মধ্যেই এ অভিযোগ ও সাময়িক বরখাস্তের ঘটনা ঘটল।

এর আগে মোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে ও দয়াগঞ্জে সিটি কর্পোরেশনের ক্লিনিং ইন্সপেক্টর বিকাশ চন্দ্র সাহাকে নির্যাতনের অভিযোগে মোহাম্মদপুর ও যাত্রাবাড়ী থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই আবদুর রউফ বাহাদুর, এএসআই মারুফ হোসেন ও কনস্টেবল গোলাম মোস্তফা। উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরাও আপনাদের মতো শুনেছি। ঘুষ নেয়ার অভিযোগে আবদুর রউফ বাহাদুর, মারুফ হোসেন ও গোলাম মোস্তফাকে প্রত্যাহার করে উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয় এবং পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

জানা গেছে, এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার বান্ধবীসহ শনিবার মধ্যরাতে উত্তরা পশ্চিম থানার অভিজাত ব্র“কলি রেস্টুরেন্ট থেকে বের হন। পথে তিন পুলিশ সদস্য তাদের আটক করে। পুলিশ সদস্যরা ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানানোর হুমকি দিয়ে আটকে রাখে এবং এক লাখ টাকা দাবি করে। ওই ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেননি। তিনি পরিচয় গোপন রেখে ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে ভোরে ছাড়া পান। পরে তিনি উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানান। সহকারী কমিশনার অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ার পর তিন পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি, মিডিয়া) মারুফ হোসেন সরদার জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত