সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:৫৫

বিএনপি সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ৪৯ কোটি টাকার ঋণখেলাপির মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান, তার স্ত্রী নাসরিন খান ও ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বন্ধ হওয়া মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) সাজ্জাদ রহিম চৌধুরীকে জামিন দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার অর্থঋণ আদালত ৫-এর বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, ১০ বছরের বেশি পুরনো ৪৯ কোটি ৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকার খেলাপি ঋণ পরিশোধে বাধ্য করার জন্য গ্রেপ্তারের আদেশ দেওয়া হলো।

এ তালিকায় মোরশেদ খান এবং তার স্ত্রী-সন্তান ছাড়াও আরও আছেন– সিটিসেলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আসগর করিম, জাপানের নাগরিক ও সাবেক কর্মী হিরোয়ুকি কন্ডোহ, সিঙ্গাপুরের নাগরিক ইয়ো এং চোক, এলান ওং তুয়ান কেং ও এডগার হার্ডলেস। প্রত্যেকের নামের পাশে ঠিকানা হিসেবে মহাখালী, প্যাসিফিক সেন্টার উল্লেখ রয়েছে।

অর্থঋণ আদালত আইনের ৩৪ (১) ধারার ব্যাংকের আবেদন মঞ্জুর করে ছয় মাসের দেওয়ানি আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে। ওই আদেশ কার্যকর করার জন্য অর্থঋণ আদালত আইনের ৩৫ ধারা অনুযায়ী পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সিএফও সাজ্জাদ রহিম চৌধুরীকে জামিন দেওয়া হয়েছে। গুলশান থানা পুলিশ ৯ আসামির মধ্য থেকে একমাত্র তাকে গ্রেপ্তার করে গতকাল অর্থঋণ আদালতে হাজির করে।

সাজ্জাদ রহিম চৌধুরী ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সিটিসেলের সিএফও ছিলেন। ইউসিবির ঋণ জালিয়াতির মামলা হয়েছে ২০১৪ সালের জুনে। তিনি ঋণগ্রহীতা কোম্পানির পরিচালক বা তার গ্যারান্টর ছিলেন না। কেবল বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন। আবার তার বিরুদ্ধে সমন জারি হলেও তাকে অবহিত করা হয়নি। সব মিলিয়ে এই মামলায় তার সম্পৃক্ততা না থাকায় জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত