সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:৫১

‘আমার তনুকে তো জ্বিনে মারেনি’

‘আমার মেয়ে তনুর মরদেহ নিয়ে কত টানা-হ্যাচরা হলো, কবর থেকে তার মরদেহ তোলা হলো, এখন কেউ বলে ধর্ষণ করেছে, কেউ বলে ধর্ষণ হয়নি, এসব শুনতে আর ভাল লাগে না, মেয়ের বিচারটা কি দেখে যাইতে পারুম না।’

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ‘ধর্ষণের আলামত মিলেনি এবং মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণও উল্লেখ নেই’।

এমন খবর শুনে সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় তনুর বাবা ইয়ার হোসেন জানান, ডাক্তাররা কি রিপোর্ট দিয়েছে তা আমি জানি না, আমি আমার মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ সিএমএইচে নিয়ে গেছি। তাকে কে হত্যা করেছে জানি না, আল্লাহ দেখেছেন।

সোমবার প্রথম ময়নাতদনন্তকারী চিকিৎসক ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. শারমীন সুলতানা বিভাগীয় প্রধানের নিকট ওই প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিভাগের প্রধান ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী বোর্ডের সদস্য ডা. কামদা প্রসাদ সাহা (কেপি সাহা) বিকালে নগরীর বাদুরতলা এলাকায় তার ব্যক্তিগত চেম্বারে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে প্রথম ময়নাতদন্তের এসব বিষয়ে জানান।

ডা. কেপি সাহা জানান, তনুর শরীরে যে দুইটি আঘাত ছিল তা মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট নয়, তাছাড়া তাকে ধর্ষণেরও আলামত মিলেনি।’

ময়নাতদন্তের ওই রিপোর্টের জবাবে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন জানান, ‘আমার মেয়ে খুন হয়েছে, এখন ডাক্তাররা এসব কি বলছে জানি না, তাহলে কি আমার তনুকে জ্বিনে মেরেছে ? কদিন পর হয়তো এমন কথাও শুনা যেতে পারে।

তিনি আরো জানান, ন্যায় বিচারের জন্য আমাদের পরিবারের ভরসা এখন প্রধানমন্ত্রী ও দেশবাসী। আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়েছে, আমি আশা করি দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী মেডিকেল বোর্ড মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ও এর রহস্য বের করে সত্য রিপোর্ট দেবে।
 
গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের পাশের একটি জঙলের ভেতর তনুর মরদেহ পাওয়া যায়। ৩০ মার্চ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে পুনরায় তনুর মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পুলিশ ও ডিবির পর বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন কুমিল্লা সিআইডির পরিদর্শক গাজী মো. ইব্রাহিম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত