সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ মে, ২০১৬ ২২:৩৯

জামায়াত নিষিদ্ধ করা সময়ের ব্যাপার: তোফায়েল

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, 'জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টা এখন সময়ের ব্যাপার। অপেক্ষা করেন এবং দেখেন।'

বুধবার সচিবালয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, 'জামায়াত সম্পর্কে আজ মানুষের কী ধারণা? জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে দিলেন, তাহলে কি সব শেষ হয়ে গেল? এটার একটা প্রক্রিয়া আছে।'

দল হিসাবে জামায়াতের বিচারে প্রস্তাবিত আইন মন্ত্রিসভায় কেন দুই বছর ধরে ঝুলে আছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘অপেক্ষা করেন, ৪৫ বছরে বিচারের কাজ করেছি।’

আইনটি নিয়ে সরকারের মধ্যে কোনো প্রশ্ন আছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, আইন হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন আসে নাই। এই দেশের জনগণের আদালতে জামায়াতের বিচার হচ্ছে।’

জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম বাড়বে বলে বিভিন্ন মহলের শঙ্কার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তোফায়েল আহমেদ বলেন, 'জামায়াত তো ইতোমধ্যে বিভিন্ন নামে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যতগুলো জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় দেখা যায়, এগুলোর মূলে রয়েছে জামায়াত। বিএনপির লোকও আছে এর মধ্যে।'

জামায়তের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় এ কঠিন কাজটা করা সম্ভব হয়েছে। আল-বদর বাহিনীর প্রধান এদেশে মন্ত্রী হয়েছিলেন। এটা কি এই দেশের কেউ ভাবতে পেরেছে! বিচার চলছে, আমরা কলঙ্কমুক্ত হতে চলেছি। দু’টি বড় কাজ শেখ হাসিনা করে গেলেন। তিনি ইতিহাসের পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকবেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে।'

‘বঙ্গবন্ধু নিজেই যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করেছিলেন’- যুদ্ধাপরাধের বিচারের  বিরোধিতাকারীদের এমন যুক্তি নাকচ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তাদের ক্ষমা করেননি।  আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব ছিলাম। যে আদেশটা গিয়েছিল, তখন মালেক উকিল সাহেব ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ক্লেমেন্সি উইল বি গিভেন টু দোজ, হু আর নট ইনভলভড ইন কিলিং, লুটিং, আরসেনিং অ্যান্ড রেইপ। তাদের বিচারের জন্যই ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান সংবিধানে রাখা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের পর ঘাতক দালালদের বিচারে আইন প্রণয়ন করে আদালত গঠন করা হলেও সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সে উদ্যোগ থেমে যায়। ১৯৭৫ সালের শেষ দিন জেনারেল জিয়াউর রহমান এক সামরিক অধ্যাদেশে দালাল আইন বাতিল করলে মুক্তি পেয়ে যায় কারাবন্দি যুদ্ধাপরাধীরা।'

সেই সময়ের কথা স্মরণ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘জিয়ার আমলে ৩১ ডিসেম্বর ঘুমিয়ে ১ জানুয়ারি ঘুম থেকে উঠে দেখি জেলখানা খালি। ওই জেলের মধ্যে যারা যুদ্ধাপরাধী ছিল, জিয়া তাদের মুক্ত করে দিয়েছিলেন।'

আপনার মন্তব্য

আলোচিত