সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ আগস্ট, ২০১৬ ০৯:২৭

নারায়ণগঞ্জে নিহত অন্য দুই জঙ্গির পরিচয়ও শনাক্ত!

জঙ্গি নেতা তামিম আহমেদ চৌধুরীর সাথে নারায়ণগঞ্জে নিহত অপর দুই জঙ্গির পরিচয় মিলেছে। এরমধ্যে একজনের পরিচয় ইতিমধ্যে পুলিশ নিশ্চত করলেও অন্যজনের ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেনি।

পরিচয় নিশ্চিত হওয়া  জঙ্গির নাম ফজলে রাব্বি। তার বাড়ি যশোরে। পুলিশের প্রকাশিত পোস্টারে এই তরুণের সন্ধান চেয়ে বিজ্ঞপ্তি ছিল।

এছাড়া এই অভিযানে নিহত অন্যজন ঢাকার ধানমণ্ডির তাওসীফ হোসেন বলে তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন মনিরুল ইসলাম। তবে তার পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

গুলশানের ক্যাফেতে হামলা চালিয়ে নিহত নিবরাজ ইসলাম, শোলাকিয়ায় হামলার পর পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত আবীর রহমান এবং কল্যাণপুরে পুলিশি অভিযানে নিহত শেহজাদ রউফ অর্কও একই সময়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন বলে তাদের পরিবারের ভাষ্য।

গুলশান হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিখোঁজ তরুণদের যে তালিকা দেওয়া হয় তাতে তাওসীফের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। গত ১ জুলাই গুলশানের ক্যাফেতে হামলার আগে ঢাকার এই চার তরুণই ঝিনাইদহের একটি মেসে ছিলেন বলে জুলাইয়ের শেষদিকে জানিয়েছিলেন জঙ্গি-তদন্তে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

তারা সে সময় বলেন, এই চারজনসহ মোট আটজন ওই মেসে থাকতেন এবং তারা সবাই গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলায় জড়িত ছিলেন বলে তাদের ধারণা।

তাওসীফের ফুপাত ভাই আহমেদ শাম্মুর রাইয়ান একবার আইএসে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। স্কলাসটিকার সাবেক ছাত্র শাম্মুর মালয়েশিয়ায় পড়তেন, যে দেশটিতে নিবরাজও পড়তেন।

অপরদিকে যশোর এমএম কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফজলে রাব্বি গত ৫ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ বলে তার পরিবারের ভাষ্য।

রাব্বির বাবা হাবিবুল্লাহ ৭ এপ্রিল ছেলের নিখোঁজের তথ্য জানিয়ে স্থানীয় থানায় একটি জিডি করেন।


উপ-শহর ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, তার ছেলে ছাত্রত্ব বাতিল করতে কলেজে আবেদন করেছিল।

যশোরের কিসমত নওয়াপাড়ায় রাব্বিদের বাসা।

শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া 'অপারেশন হিট স্ট্রং টোয়েন্টি সেভেন' নামে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এতে নিহত হয় জঙ্গি নেতা তামিম ও তার ২ সহযোগী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত