সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ অক্টোবর, ২০১৬ ১৪:১৯

রতনতনু ঘোষের প্রতি বাংলা একাডেমীর অসৌজন্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

‘বিশিষ্ট‘ না হওয়ায় অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক ও লেখক রতনতনু ঘোষের মরদেহ বাংলা একাডেমিতে প্রবেশে বাধা ও একাডেমীর অসৌজন্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ক্ষুব্ধ লেখক সাহিত্যিকগণ।

বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন কবি আসলাম সানী, মজিদ মাহমুদ, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, কাজী সালাউদ্দিন, আশিকুজ্জামান খন্দকার, নীল হাসান, মাহবুব নেওয়াজ চৌধুরী, অভিলাষ দাশ, বদরুল আলম, ফিরোজ শাহ, গিরিশ গৈরিক, জাকির হোসেন, সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ, সাব্বির আলম চৌধুরী, ইফতেখার মাহমুদ, শফিক হাসান, অজয় রায়, হাবিব ইমন, অচিন্ত্য চয়ন, সুব্রত দেব নাথ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কবি রতনতনু ঘোষের স্ত্রী ড. ছন্দশ্রী পাল।

কবি মজিদ মাহমুদ বলেন, বিশিষ্ট লেখক নন, এই বিবেচনায় তার মরদেহ বাংলা একাডেমীতে ঢুকতে দেয়া হয় নি। এর মাধ্যমে লেখকের প্রতি অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। আমি এর নিন্দা জানাই।

বাংলাদেশ প্রগতিশীল লেখক সংঘের সংগঠক লেখক হাবিব ইমন বলেন, একজন লেখককে নিয়ে বাংলা একাডেমীর সচিব আমলাতান্ত্রিক মন্তব্য করেছেন। আমরা তা প্রত্যাহার কামনা করছি। ‘বিশিষ্ট লেখক’ বলতে তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন? তিনি এ একাডেমীর আজীবন সদস্য।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (৩ অক্টোবর) অপরাহ্ণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যাওয়ার খবরে লেখক-সাহিত্যিক ও সুশীল সমাজের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। রতনতনু ঘোষ একজন পরিশ্রমী লেখক। বিগত তিরিশ বছর যাবত তিনি সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অর্ধশতাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন; তার কোনো কোনো গ্রন্থ ইতোমধ্যে রেফারেন্স গ্রন্থের মর্যাদা পেয়েছে। তিনি বাংলা একাডেমীর আজীবন সদস্য ছাড়াও সাহিত্য গবেষণার নানা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ তার মরদেহ একাডেমী প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বাংলা একাডেমীর এহেন আচরণে উপস্থিত কবি-সাহিত্যিকগণ ক্ষোভ ও প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত