০৯ জুলাই, ২০১৭ ১৫:২২
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার জঙ্গিনেতা সোহেল মাহফুজের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (৯ জুলাই) তাকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোয়াহা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে অংশ নেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌসুলি আব্দুল্লাহ আবু ও তাপস কুমার পাল। তবে এসময় সোহেলের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে শিবগঞ্জের পুস্কুনি এলাকার একটি আমবাগান থেকে সোহেল মাহফুজ ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এম খুরশীদ হোসেন বলেন, সোহেলকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে উত্তরাঞ্চলে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক তছনছ হয়ে গেল।
তিনি জানান, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোরের জঙ্গি আস্তানায় সোহেলের যাতায়াত ছিল। সে দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ করতো। বোমা বানাতেও পারদর্শী সে। সোহেল মাহফুজের সঙ্গে যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা মূলত জঙ্গিদের বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট দিয়ে থাকে।
পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি অ্যান্ড রেস্তোরাঁয় হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী নব্য জেএমবি নেতা মাহফুজ সোহেল জেএমবির ভারতীয় শাখার প্রথম আমির ও খাগড়াগড় বোমা হামলার অন্যতম আসামি।
সোহেলকে ধরিয়ে দিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল বলেও জানান তিনি।
গ্রেপ্তার হওয়া সোহেলের অন্য তিন সহযোগীর মধ্যে রয়েছেন- নব্য জেএমবির প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ, অস্ত্র সরবরাহকারী জুয়েল রানা এবং নব্য জেএমবির রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ ও নাটোর জেলার সমন্বয়কারী জামাল হোসেন।
আপনার মন্তব্য