১৫ মে, ২০২৪ ০০:৩৯
একটি গল্প দিয়ে লেখাটি শুরু করি। পুরাতন গল্প, অনেকবার বলা গল্প। আমার দাদার সাথে উনার এক গুষ্টির ভাইয়ের একবার সামান্য ঝগড়া হয়েছিল। দুই ভাইয়ে কথা বলাবলি বন্ধ। তো ঐ দাদার এক মেয়ে বিবাহ উপযুক্ত ছিলেন। দুবাগ অঞ্চল থেকে সেই ফুফুর বিয়ের একটি সম্বন্ধ আসে। বিয়ের আনুসাঙ্গিক কথাবার্তা শেষে বিয়ের তারিখ নির্ধারণের সময় আমার দাদার ঐ ভাই মানে আমার অপর দাদা বর পক্ষকে জানান, এখন বিয়ের তারিখ দেয়া যাবে না। কেন বিয়ের তারিখ দেয়া যাবে না জানতে চায় বরপক্ষ। আমার ঐ দাদা বলেন, আমার এক ভাইয়ের সাথে আমার সমস্যা চলতেছে সেটা শেষ না হলে আমি বিয়ের তারিখ দিতে পারবো না। মেয়ে আমার ঘরে জন্ম নিয়েছে কিন্তু তার অভিভাবক আমার সকল ভাই। বরপক্ষ ফিরে যায়, বিয়েটা ভেঙে যাবার উপক্রম হয়। একসময় আমার দাদা বিষয়টা শুনেন, তিনি তার ভাইয়ের বাড়িতে যেয়ে ভাইকে জড়িয়ে ধরে নিজেদের সমস্যা মিটিয়ে ফেলেন এবং সুবিধা মতো সময়ে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করে বর পক্ষকে জানিয়ে দেন।
আমার এই গল্প না শুধু আমার এই পুরো লেখাটাই বড়লেখা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সেই সকল নেতা কর্মীদের ভালো লাগবে-না, যারা গত পনেরো বৎসরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন। কিন্তু এই পনেরো বৎসর ছাড়াও যে বড়লেখা আওয়ামী লীগের একটা ঐতিহ্যবাহী অতীত রয়েছে। সেই অতীত আমি অনেকটাই জানি বলে আমি জানি বড়লেখা আওয়ামী লীগ আসলেই একটি শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ পরিবার ছিল। এই পরিবারে জাত, ধর্ম-বর্ণ এলাকা ভেদাভেদ ছিল না। এই পরিবারের সকল সদস্য সকল খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব সময় ঐক্যবদ্ধ ও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ৯১ এর নির্বাচন ৯৬ তত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনে বড়লেখা আওয়ামী লীগের ঐক্যবদ্ধ ও শক্ত অবস্থানের উদাহরণ হতো আশপাশের উপজেলাগুলোয়। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনকে ঘিরে সামান্য ছন্দপতন হলেও তা কেটে যায় খুব দ্রুত। আমার উপরের গল্পের মতোই একটি গল্প সে সময় সৃষ্টি হয় বড়লেখায়। প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম স্যারের বিপরীতে আমাদের বর্তমান সংসদ সদস্য মো. শাহাব উদ্দিন প্রথমবারের মতো ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। নমিনেশন দাখিল হয়, প্রত্যাহার তারিখ যায়, মার্কা আসে। প্রতিপক্ষ প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা শুরু হয় কিন্তু মো. শাহাব উদ্দিন সাহেবের একটা পোষ্টার ও বিতরণ হয় না। তিনি সাফ সাফ জানিয়ে দেন সিরাজুল ইসলাম সাহেব খুশি মনে আগে আমাকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসাবে গ্রহণ করুন; তারপর নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হবে। তৎক্ষালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মরহুম মজির উদ্দিন সাহেবের উদ্যোগে উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মুরব্বিয়ানগণ সিরাজুল ইসলামকে মো. শাহাব উদ্দিনের সেই কথাটি জানান। সিরাজুল ইসলাম অবশেষে বড়লেখা আদালত চত্ত্বরের বর্তমান সাব রেজেস্ট্রি অফিসের মুহুরিরা যে ঘরে বসেন সেখানে সকল মুরব্বিয়ানদের সাথে এসে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের মাধ্যমে ভোটের মাত্র ১৫-১৬ দিন আগে মো. শাহাব উদ্দিনের পক্ষে নৌকা মার্কার আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের শক্তি সেবার দেখতে পায় বড়লেখাবাসী। বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মো. শাহাব উদ্দিন।
নমিনেশন দ্বন্ধকে পুঁজি করে সেদিন যদি এঁকে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হতেন আমাদের নেতারা তাহলে আজকের বড়লেখা আওয়ামী লীগের অবস্থা আজকের মতো নাও হতে পারতো। আজ বহু বৎসর পর পুনরায় আমাদের বড়লেখা আওয়ামী লীগ পরিবার এক বড় বিপর্যয়ের মধ্যে পতিত হতে যাচ্ছে। এই বিপর্যয় থেকে পরিবারকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসতে হবে পরিবারের বড় সদস্যদেরকেই।
পরিবারের বড় সদস্য বলতে আমি স্পষ্টভাবে নাম নিতে চাই বিগত উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত আওয়ামী লীগের দুই প্রভাবশালী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সুন্দর এবং সোয়েব আহমদের। এই দুই ব্যক্তিকে প্রথমে অনুভব করতে হবে বড়লেখা আওয়ামী লীগের সামনে এক মহা বিপর্যয় অপেক্ষা করছে। আমি জানি গত পনেরো বৎসরে যারা নেতা হয়েছেন, যাঁরা আওয়ামী লীগের খারাপ সময় সম্পর্কে ভালো কিছু জানে না , যাঁরা জানে না আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকার সময় এই দুই ব্যক্তিসহ আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের শতশত নেতাকর্মী মামলা, হামলা, নির্যাতনের শিকার হয়ে কিভাবে জেল জুলুম সহ্য করে এই দলটাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসতে সহযোগিতা করেছেন তাঁরা মানবেন না বা বিশ্বাস করতে চাইবেন না, বড়লেখা আওয়ামী লীগের সামনে এক মহা বিপর্যয় আসন্ন।
আমি জানি-না রফিকুল ইসলাম সুন্দর এবং সোয়েব আহমদের চোখে আমার এই লেখা পড়বে কিনা। যদি দৈবক্রমে লেখাটি তাঁদের চোখে পড়ে তবে আমার মনে জাগা নিচের প্রশ্নগুলোর জবাব খোঁজতে কি তাঁরা আমাকে সহযোগিতা করবেন?
প্রশ্ন নম্বর এক: আমাদের মাননীয় সাবেক মন্ত্রী তথা বড়লেখা অঞ্চলের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক অভিভাবক মো. শাহাব উদ্দিন সাহেবের পর এই অঞ্চলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ব্যক্তিটির নাম কী। উনার পর এই অঞ্চল থেকে সংসদ সদস্য হিসাবে মনোনয়ন পাবার সম্ভাবনা কার বেশি? নিশ্চয়ই রফিকুল ইসলাম সুন্দর। আর মাত্র চার বৎসর পর আমাদের সংসদ সদস্য হবার প্রায় আশি ভাগ সম্ভাবনা যে রফিকুল ইসলাম সুন্দর সাহেবের তিনি কেনো পুনরায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবার ঝুঁকি নিলেন। আমরা যাঁরা বড়লেখার রাজনীতির টুকটাক খবর সংগ্রহ করার চেষ্টা করি আমরা জানি রফিকুল ইসলাম সুন্দর সাহেব যতটা না নিজের ইচ্ছায় প্রার্থী হয়েছেন তারচেয়ে অনেক বেশি অতি উৎসাহীরা তাঁকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে বাধ্য করেছেন। আর এই বাধ্যকরা বাহিনী মূলত জুড়ি উপজেলার সাথে প্রগাঢ়ভাবে সম্পর্কিত। তারাই পরিকল্পিতভাবে এই নির্বাচনে উনাকে তৃতীয় করেছে। উপজেলা নির্বাচনে তৃতীয় হওয়া একজন মানুষকে তো আর আওয়ামী লীগ নমিনেশন দেবে না, তখন তাঁদের পথটা পরিষ্কার হয়।
প্রশ্ন নম্বর দুই: আমরা নির্বাচন করেছি বড়লেখায়। আমাদের বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তথা এই অঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক মো. শাহাব উদ্দিন। নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আজির উদ্দিন আমাদের নেতাকে পাশ কাটিয়ে বিগত প্রায় দুই বৎসর থেকে মো. শাহাব উদ্দিন সাহেবকে নানাভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা একজন বিশেষ মানুষের সাথে জুড়ি উপজেলায় গিয়ে মালা বিনিময়ের মাধ্যমে আনন্দ উল্লাস করার কারণটা কী? আচ্ছা মানলাম উনি কোনো কারণ ছাড়াই সেটা করেছেন।
কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উক্ত নির্বাচনে পরাজিত রফিকুল ইসলাম সুন্দরের সাথে দেখা করে তারপর উনি জুড়িতে আনন্দ উদযাপনে যাওয়ার মাধ্যমে পুরো উপজেলায় মূলত সুন্দর সাহেব সম্পর্কে উনি কি বার্তা দিতে চাইলেন। উনি কী প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একটি বিশেষ গ্রুপের মানুষ। রফিকুল ইসলাম সুন্দর ইচ্ছা করলে বা প্রয়োজন হলে নিজে নিজের গ্রুপ তৈরী করবেন। কিন্তু এভাবে উনাকে অন্য উপজেলার বিশেষ গ্রুপের মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে মূলত উনার রাজনৈতিক কেরিয়ারটা কী ধ্বংস করে দেয়ার পরিকল্পনা নয়?
প্রশ্ন নম্বর তিন: বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি, বড়লেখার মূলধারা আওয়ামী লীগের বর্তমানে সবেধন নীলমণি নির্বাচিত মেয়র আবু ইমাম চৌধুরী কামরান ভাই বিগত উপজেলা নির্বাচনে এতো উত্তেজিত বা এগ্রেসিভ বক্তব্য দেবার কারণ কী? পৌরসভায় আওয়ামী লীগের অবস্থা এমনিতেই খুব ভালো নয়, ব্যবসায়ী সাইদুলের ভোট বা এর আগের নির্বাচনে নূর ভাইয়ের ভোট বা খিজির ভাইয়ের ভোট বা ফখরুল ভাইয়ের নির্বাচিত হবার গল্প যদি আমরা স্মরণ করতে পারি তাহলে আমি দ্বিধাহীন বলতে পারি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ তুলনামূলকভাবে দুর্বল।
সেই পৌরসভার মেয়র সাহেব নিজে থেকে এতো কট্টর হবেন কেন? আমার হিসাবে মেলে না। উনাকে উত্তেজিত করে এগ্রেসিভ বক্তব্য দিয়ে উনাকে পুনরায় পৌরসভায় প্রবেশ করতে না দেবার কোনো পরিকল্পনা কি কেউ করছে? সেটা কী ভাবার বিষয় নয়। আমাদের দক্ষিণেশ্বর বাবা যদি পরিকল্পনা করেন যে, বড়লেখা পৌরসভা উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও স্বনামধন্য নেতাদের পরাজিত করিয়ে পরে সেন্ট্রাল আওয়ামী লীগে ম্যাসেজ দিলেন বড়লেখায় আওয়ামী লীগ দুর্বল সেখানের কেউ নমিনেশন পেলে আওয়ামী লীগ পাস করতে পারবেনা, জুড়িতে আওয়ামী লীগ সংঘটিত জুড়ির প্রার্থী পাস করবে। হয়তো সেই পরিকল্পনা থেকে আমাদের মধ্যে এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। ভাবার বিষয় নয় কি?
প্রশ্ন নম্বর চার: এই প্রশ্নটা আমি বিশেষভাবে সুন্দর ভাইকে করতে চাই। উনার সাথে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ নেই, থাকলে সরাসরিই করতাম। বিগত সংসদ নির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী নমিনেশন চেয়েছিলেন। যদি নেত্রী এই পরিস্থিতিতে মো. শাহাব উদ্দিনকে বলতেন তোমাকে নমিনেশন দেব না। তুমি তাঁদের দুইজন থেকে একজনকে পছন্দ কর। মন্ত্রী মহোদয় কাকে পছন্দ করতেন? সুন্দর ভাই আপনি আপনার বুকে হাত দিয়ে বলুন ভাই উনি কি আপনার নাম বলতেন না?
সুন্দর ভাই এবং উনার অনুসারীদের বিনীত অনুরোধ করে বলি আপনারা স্মরণ করার চেষ্টা করুন নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আজ তাজ ভাই যেভাবে এমপি মহোদয়ের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রায় এরকমই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ২০১৯ সালে সোয়েব ভাই। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সুন্দর ভাইও একইভাবে মন খারাপ করেছিলেন। সকলের কাছে অপরাধী আমাদের মন্ত্রী মহোদয়। তিনি যদি সত্যিই কারো প্রতি অন্যায় করতেন তবে এভাবে সবাই উনাকে দোষতে পারতেন না।
সামনে উপজেলা কাউন্সিল। জেলায় বা কেন্দ্রে আমাদের সংসদ সদস্য মহোদয়কে সম্মানিত করা হলে হয়তো বা তিনি উপজেলায় আর নাও থাকতে পারেন। সোয়েব ভাই এবং সুন্দর ভাইকে বিনীত অনুরোধ করে বলি মাত্র একটিবার চিন্তা করুন। একজন একেবারে অপরিচিত মানুষকে যারা উপজেলায় ছলে বলে কৌশলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে ফেলেছে শুধু মাত্র আমাদের বড়লেখার রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ছোট করার উদ্দেশ্যে। তারা যদি উপজেলা কাউন্সিলে এরকম কিছু করে ফেলে আপনারা কী করবেন? মো. শাহাব উদ্দিন সাহেবের পর আপনারা দু’জন বড়লেখার নেতা, শত কৌশলে তাই তারা আপনাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আপনারা কেউ বুঝতে পারছেন, কেউ বুঝতে পারছেন না। আপনাদের অজান্তেই বড়লেখা আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে যাচ্ছে। বিষয়টা খুবই দুঃখজনক।
আমি উপরে বলেছি ১৯৯৬ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে মো. শাহাব উদ্দিন সাহেব সিরাজুল ইসলাম সাহেবকে কনভিন্স করেই নির্বাচন করেছিলেন। কনভিন্স কি, আমার স্মৃতি যদি ভুল না বলে রাজনৈতিক সিনিয়র হিসাবে উনি সেদিন সিরাজুল ইসলাম সাহেবকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। উনার সেই বিনয় একদিন উনাকে মন্ত্রী করেছে। আপনাদের দলের খুব ক্ষুদ্র একজন কর্মী হিসাবে আপনাদের উভয়কে বিনীত অনুরোধ করছি একটা পরিবেশ তৈরী করে আপনারা বসুন, বড়লেখা আওয়ামী লীগকে বড়লেখার নিয়ন্ত্রণে রাখুন। দুই ইউনিয়নের কাছে দশটি ইউনিয়নকে পরাজিত হতে দেবেন না দয়া করে।
অনেক দুঃখ আছে আপনাদের মধ্যে, অনেক ভুল বোঝাবুঝি আছে। কিন্তু আপনারা দুইজন একসাথে জেলখাটা মানুষ, একসাথে মাইর খাওয়া মানুষ, যারা আপনাদেরকে জেলে দিয়েছিল যারা আপনাদেরকে মেরেছিল তারা এখন আপনাদেরকে ডিভাইড এন্ড রুলস নীতিতে কব্জা করতে চায়। বিশ্বাস করুন আপনারা দু’জন একবার একটি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ডাক দিয়ে দেখুন ২০ হাজার মানুষ একসাথে এসে আপনাদের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু আলাদাভাবে ডাক দেন বড়জোর এক হাজার পাবেন। মানুষ দ্বিধান্বিত, মানুষ আশাহত। বড়লেখার আওয়ামী লীগ আপনাদের দুজনের কাছে অসহায় হয়ে গেছে ভাই। আপনারা এক হয়ে গেলেই বড়লেখায় আওয়ামী লীগ এক, বড়লেখায় আবার এমপি হয়তো-বা আবারও মন্ত্রী।
ভালো হোক আপনাদের
জয় বাংলা
কয়েছ আহমদ বকুল, প্যারিস (ফ্রান্স প্রবাসী)
আপনার মন্তব্য