সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ জুলাই, ২০১৭ ০০:০৬

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ‘টাকা পাঠানোর দৃশ্যে’ ফরহাদ মজহার (ভিডিও)

কবি, প্রাবন্ধিক ও ডানপন্থী বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহারের কথিত অপহরণের দিন সন্ধ্যায় খুলনা নিউ মার্কেটের একটি দোকানের সিসিটিভি ভিডিও প্রকাশ করেছে পুলিশ। ভিডিওটিতে স্বাভাবিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় থাকা ফরহাদ মজহারকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে দেখা যায়।

গত ৩ জুলাই ভোরে বাসা থেকে একা বের হন ফরহাদ মজহার। এরপর তার পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। অপহরণের দাবির পর ওই দিনই পুলিশ ফরহাদ মজহারকে যশোর থেকে হানিফ পরিহবহনের ঢাকাগামী এক বাস থেকে উদ্ধার করে।

উদ্ধারের পর আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ফরহাদ মজহার দাবি করেন তাকে অপহরণ করা হয়েছিল, এবং ওই দিনই সন্ধ্যার দিকে তাকে মুক্ত করে দিয়ে ঢাকাগামী এক বাসের টিকেট ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করা হয় নি। পুলিশ ফরহাদ মজহারের মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা করে অর্চনা নামের এক নারীর সঙ্গে কথোপকথনের কথা জানায়। ফরহাদ মজহার অর্চনাকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমের টাকা পাঠানোর তথ্যও জানায়।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই নারী জানিয়েছেন, ৩ জুলাই সন্ধ্যার দিকে তাকে ১৫ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন ফরহাদ মজহার।

প্রকাশ হওয়া ভিডিওফুটেজে দেখা যায় ফরহাদ মজহার ৩ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি দোকানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করছেন। কিন্তু এ লেনদেন অর্চনা নামের নারীকে উদ্দেশ্য করে হয়েছে কীনা এ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় নি।

এরআগে, ফরহাদ মজহারের নিরুদ্দেশ ঘটনার পর যমুনা টেলিভিশনে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে কথিত অপহরণের দিন বিকেলের দিকে খুলনার একা হেঁটে যাওয়ার দৃশ্য প্রচার হয়।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক বিভিন্ন ভিডিও ও অডিও নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়ে বলেন, এটি অপহরণের কোনো ঘটনা ছিল না। পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে শহীদুল হক বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর ফরহার মজহার তার স্ত্রীকে ১০ বার ফোন করেছিলেন এবং তার তাদের কী কথা হয়েছে, তার কিছু অডিও ক্লিপ শুনেছেন তারা।

“ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলাম, ভোর ৫টা ২৯ মিনিট থেকে আরম্ভ করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উনি উনার স্ত্রীর সঙ্গে ১০ বার টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং কী কথা বলেছেন সেসব কথার কিছু কিছু আমাদের কাছে আছে।

“তাদের (ফরহাদ ও ফরিদা) একটি কথোপকথনের শেষের দিকে তিনি স্ত্রীকে বলছেন, ‘এগুলো তো সব ভাইরাল হয়ে গেছে, ফেইসবুকে অপহরণের কথা সব ছড়াইয়া পড়ছে, বন্ধ কর, বন্ধ কর, ওরা আমাকে ছেড়ে দিবে, ওরা আমাকে এখনই ছেড়ে দিবে, অপহরণ-অপহরণ দরকার নেই, এসব বন্ধ করে দেও, দরকার নেই’।”

ভিডিও :

আপনার মন্তব্য

আলোচিত