১৪ জুলাই, ২০১৭ ১৮:৫৩
রাজধানীতে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কেউ ডাকলে তার বাসাবাড়িতে গিয়ে মশা নিধনের ফগার মেশিন নিয়ে সিটি কর্পোরেশন হাজির হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) নগরভবনের সামনে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে স্পেশাল ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করে তিনি একথা জানান।
এ সময় মেয়র ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় আগামী তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘আমার সিটি এলাকায় কারো বাসার সামনে ফগার মেশিন ওষুধ প্রয়োগ করছে। এ সময় তিনি যদি বাসার ভেতরে দিতে বলেন, অবশ্যই আমার কর্মীরা সেখানে যেতে বাধ্য থাকবেন।’
সাঈদ খোকন বলেন, ‘চিকুনগুনিয়া মহামারি আকার ধারণ করেছে তা বলা যাবে না। তবে নিয়ন্ত্রণে আনতে নাগরিকদের আরো সচেতন হতে হবে।’
আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্ববান জানি তিনি বলেন, ‘রোগ আসতেই পারে। সবাই মিলে কাজ করলে বর্তমান সংকট মোকাবেলা করা সহজ হবে।’
মেয়র জানান, বিকেলেই অঞ্চল-৪ এর ১১ ওয়ার্ডে একসঙ্গে ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ দেওয়া হবে।
মোট ৩০৩ জন স্প্রেম্যান ১৪৮টি ফগার মেশিন এবং ২৭১টি হস্তচালিত মেশিন নিয়ে পর্যায়ক্রমে চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে গোটা দক্ষিণ সিটিতে মশা নিধনে কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলেও জানান তিনি।
একই দিন ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, চিকুনগুনিয়া মহামারি হোক আর যাই হোক, এর জন্য কোনোভাবেই সিটি করপোরেশন দায়ী না। আর বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মশা মারা তাদের পক্ষে সম্ভব না।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকালে গুলশানের ডিএনসিসি কার্যালয়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ তথা চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ডিএনসিসির নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ও ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বিশেষজ্ঞ হিসেবে একজন রোগতত্ত্ববিদ ও দুজন কীটতত্ত্ববিদ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মন্তব্য