সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ জুলাই, ২০১৭ ১১:১৫

সার্কিট হাউসের ৭ মাসের ভাড়া দেননি ইউএনওর মামলার বিচারক

বরিশাল সার্কিট হাউজ

বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির মামলায় বরিশালের যে বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিক সালমানের মামলা যার আদালতে চলছে সেই বিচারক আলী হোসাইন বরিশাল সার্কিট হাউজে সাত মাস থাকার পরও ভাড়া পরিশোধ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা পরিশোধের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিচারককে চিঠি পাঠানো হলেও তিনি ইতিবাচক সাড়া দেননি।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতির অভিযোগে বরগুনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা সিএমএম আলী হোসাইনের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

শুক্রবার (২১ জুলাই) রাতে বরিশালের জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সিএমএম আলী হোসাইন আট মাস বরিশাল সার্কিট হাউসে থেকেছেন। এর মধ্যে ভাড়া দিয়েছেন মাত্র পাঁচ দিনের। টাকা পরিশোধের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে চিঠি পাঠানো হলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি।’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমি ২০১৫ সালে যোগদানের আগ থেকেই তিনি এখানে থাকতেন। তিনি দীর্ঘদিন এখানে বাস করায় রেজিস্ট্রি এন্ট্রির মাধ্যমে তার কাছ থেকে প্রায় ৯৩ হাজার টাকা ভাড়া পাওনা ছিল। বিষয়টি প্রথমে তাকে জানানো হলেও তিনি কোনো সদুত্তর দেয়নি। পরে চিঠিও দেয়া হয়েছিল। তাতেও কোন কাজ হয়নি। একদিন জানতে পারি তিনি হঠাৎ করে সার্কিট হাউস ছেড়ে চলে গেছেন। ’

বকেয়া ভাড়া পরিশোধে ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট বিচারক আলী হোসাইনকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেজারত শাখা থেকে একটি চিঠি দেয়। এতে বলা হয়, এই বিচারক বরিশাল সার্কিট হাউসের পুরাতন ভবনের সাত নম্বর কক্ষটি ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ২৮ জুন পর্যন্ত ব্যবহার করেছেন। কিন্তু ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত চার দিনের মোট ৩৯০ টাকা ভাড়া পরিশোধ করা হলেও বাকি দিনগুলোর জন্য কোনো ভাড়া দেননি।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ওই কক্ষে এক থেকে তিন দিন পর্যন্ত প্রতিদিন ৯০ টাকা হারে এবং চার থেকে সাত দিন পর্যন্ত ১২০ টাকা হারে এবং সাত দিনের ঊর্ধ্বে প্রতিদিনের জন্য চারশ টাকা হিসাবে ভাড়া নির্ধারণ করা আছে। এই হিসাবে ওই বিচারকের কাছে মোট পাওনা হয় ৯৩ হাজার ৯৫০ টাকা।

২০১৬ সালের ৪ আগস্ট সিএমএম আলী হোসাইনকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত শাখা থেকে তৎকালীন নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) কল্যাণ চৌধুরী একটি চিঠি দেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকারি পাওনা পরিশোধ করার জন্য অত্র কার্যালয়ের বিগত ২৬ মে ২০১৬ তারিখে আপনাকে পত্র প্রেরণ করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এরপরও আপনি ধারাবাহিকভাবে ২৬/০৬/২০১৬ তারিখ পর্যন্ত কক্ষটি ব্যবহার করেছেন। ’ কিন্তু ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত চার দিনের মোট ৩৯০ টাকা ভাড়া পরিশোধ করলেও বাকি দিনগুলোর জন্য তিনি কোনও ভাড়া দেননি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত