সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ জুলাই, ২০১৭ ০১:২৫

শ্রমিক লীগ থেকে তুফান সরকার বহিষ্কার

এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার জাতীয় শ্রমিক লীগ বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক তুফান সরকারকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার সংঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শুকুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে তুফানকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে তারা বলেন, 'জাতীয় শ্রমিক লীগ একটি সুশৃঙ্খল আদর্শিক সংগঠন। এই সংগঠনে অপরাধীদের কোন স্থান নেই।'

একই সঙ্গে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ওই ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করে নেতৃবৃন্দ বলেন, 'ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।'

ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৭ জুলাই এক কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন শ্রমিক লীগ বগুড়া শহর শাখার তৎকালীন আহ্বায়ক তুফান সরকার। এর ১০ দিন পর তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী' মেয়েটি ও তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে শহরের চকসূত্রাপুর এলাকায় কাউন্সিলর রুমকির বাড়িতে মা ও মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে বেধড়ক পেটানো হয়। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি এবার বগুড়া শহরের একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে গত ২৮ জুলাই রাতে বগুড়া সদর থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন। এরপর রাতেই তুফান এবং আতিকুর রহমান আতিক, আলী আজম দিপু ও রূপম নামের তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার প্রধান আসামি তুফান এবং তার দুই সহযোগী দিপু ও রূপমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। তুফানের দেহরক্ষী হিসেবে পরিচিত আতিকুর রহমান আতিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে শনিবার রাতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ ছাড়া রোববার সন্ধ্যায় পলাতক আসামিদের মধ্যে তুফানের স্ত্রীর বড় বোন সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুমকি ও তার শাশুড়ি রুমি বেগমকে পাবনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত নেতা তুফানের স্ত্রী আশাসহ মামলার অপর চার আসামিকে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এর আগে রোবরারই বগুড়ায় শ্রমিক লীগের জরুরি সভায় তুফান সরকারকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হয়। জেলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় কমিটি তুফানকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত