সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ জুলাই, ২০১৭ ১৮:১০

রাজধানীতে খাবারের লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা

রাজধানীর বাড্ডায় চার বছরের শিশুকে খাবারের লোভ দেখিয়ে বাসায় ডেকে ধর্ষণ করার পর গলাটিপে হত্যা করা হয়। ধর্ষক শিপনকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে রবিবার বিকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় তানহা নামের চার বছরের ওই শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করে ধর্ষক শিপন। এ ঘটনার ৬ ঘণ্টার মধ্যে শিপনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, শিপনের বাসা থেকে রক্তমাখা তোয়ালেসহ আলামত হিসাবে জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, তানহা তার বাবা-মার সঙ্গে ভাড়া থাকতেন বাড্ডার আদর্শনগরের মিনহাজ নামে এক ব্যক্তির বাসায়। রবিবার ওই বাসার পাশে আমিন নামে অপর এক ব্যক্তির বাড়িতে জাহেদা আক্তার কলি নামে নতুন ভাড়াটিয়া আসে। তানহা জাহেদা আক্তর কলির কাছে যায়। তাকে আন্টি বলে ডাকে। শিপন তার স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাড়ির ভিন্ন একটি রুমে ভাড়া থাকে। রবিবার বিকাল ৫ টায় শিশু তানহা জাহেদার বাসা থেকে শিপনের ঘরের সামনে দিয়ে নিজের ঘরে ফিরছিল। শিপন তখন খাবারের লোভ দেখিয়ে বাচ্চাটিকে টান দিয়ে তার ঘরে নিয়ে যায়। এর পর শিপন শিশু তানহাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তানহা ও শিপনের পরিহিত কাপড়সহ বিছানা রক্তাক্ত হয়ে যায়। তানহা চিৎকার করলে শিপন তার গলা চেপে ধরে হত্যার পর তানহার লাশ বাসার টয়লেটে ফেলে দেয়। পরে শিপন রক্তভেজা চাদর, তার গায়ের গেঞ্জি ও পড়নের লুঙ্গি বালতিতে ভিজিয়ে রাখে।

উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাড্ডার আদর্শনগরী এলাকার ৩৬০ নম্বর বাসার থেকে বাথরুম থেকে তানহাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তানহা জামালপুর জেলার প্রাইভেট কারচালক মেহেদী’র মেয়ে। ওই বাসাতেই ভাড়া থাকতো শিশু তানহার পরিবার।

পুলিশ জানিয়েছে, শিপন একটি ডাকাতি মামলায় পাঁচবছর সাজা খেটে বের হয়েছে। সে দিনমজুরের কাজ করে। তার স্ত্রী পোশাক কারখানায় কাজ করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত