সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ জুলাই, ২০১৭ ১৮:২৭

কাউন্সিলর রুমি ও তুফানের স্ত্রীসহ ৭ জন রিমান্ডে

মেয়েকে ধর্ষণের পর মা ও মেয়ের মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার রুমকির চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই ঘটনায় রুমকির বোন ও ঘটনার মূল হোতা বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের বরখাস্ত হওয়া আহ্বায়ক তুফান সরকারের স্ত্রী আশা, রুমকির মা রুমি ও বাবা জাহিদুলসহ বাকি ছয় আসামিকে দুদিন করে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ আদেশ দেন।

দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়া অন্য আসামিরা হলেন তুফান সরকারের গাড়ি চালক জিতু, সহযোগী মুন্না ও ক্ষৌরকার জীবন রবী দাস। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদ রিমান্ডের তথ্য জানিয়েছেন।  

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি তুফান সরকার ও তাঁর সহযোগীরা এসএসসি পাস এক ছাত্রীকে ভালো কলেজে ভর্তি করার কথা বলে গত ১৭ জুলাই শহরের নামাজগড় এলাকায় তাঁদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ধর্ষণের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে গত শুক্রবার বিকেলে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও তাঁর বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার রুমকিসহ কয়েকজন মিলে ওই ছাত্রী ও তাঁর মাকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেন। তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে মেয়ের মা বলেছেন, ‘আমরা সমাধানের জন্য কমিশনারের (কাউন্সিলর) কাছে গেছি। কমিশনার উল্টা মা আর মেয়ের চুল কেটে, এসএস পাইপ দিয়ে আমাদের মা-মেয়েকে মারছে। অনেক নির্যাতন করছে, পাঁচ মিনিট পরপর টর্চারিং, পাঁচ মিনিট পরপর আমাদের মাইর। কমিশনার (কাউন্সিলর), কমিশনারের মা ও তাঁর বোন আশা। এই তিনজনার চরম বিচার চাই, চরম শাস্তি হোক।’

গত শনিবার ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে তুফান, রুমকি ও আশাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মেয়েটির মা। শুক্রবার রাতেই পুলিশ মূল আসামি তুফান, তাঁর সহযোগী রূপম, আলী আজম ও আতিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে রোববার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আতিকুর। গতকাল বাকি তিনজনকে আদালতে হাজির করে তিনদিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

রোববার সন্ধ্যার পর বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ দল পাবনা শহরের হেমায়েতপুরে অভিযান চালিয়ে কাউন্সিলর মার্জিয়া আকতার রুমকি ও তাঁর মা রুমিকে গ্রেপ্তার করে। অপরদিকে রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকায় ডিবি পুলিশের একটি দল সাভার থেকে তুফানের স্ত্রী আশা, গাড়িচালক জিতু ও সহযোগী মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত