সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ ডিসেম্বর, ২০১৭ ২২:৪১

চিকিৎসককে সাজা: সেই এডিসিকে ওএসডি

ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরের সাবেক সিভিল সার্জন ডা.সালেহ উদ্দীন শরীফকে সাজা দেওয়ায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলামকে ওএসডি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশের তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা) করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত এডিসির বিরুদ্ধে  বিভাগীয় কোনো মামলা হয়নি।

সোমবার সকালে  লক্ষ্মীপুরের কাকলি স্কুলের প্রবেশ পথ দিয়ে আগে-পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও ডা.সালাহ উদ্দিন শরীফের কথা কাটাকাটি হয়।

এরপর ভ্রমমাণ আদালতের মাধ্যমে ডা.শরীফকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

এ ঘটনায় জনস্বার্থে করা এই আবেদনে এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও দণ্ডপ্রদানকারী লক্ষ্মীপুর সদরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরুজ্জামানকে তলব করেছেন বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদুল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আগামী ১৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে দশটায় তাদেরকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এই ঘটনার বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একই সময় সিভিল সার্জনকেও আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি রুলও জারি করে হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন, ‘ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে’ মোবাইল কোর্টের কার্যক্রমের এই অপব্যবহারকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না?

ভ্রাম্যমান মামলার প্রতিক্রিয়ায় লক্ষ্মীপুরের চিকিৎসকদের প্রতিনিধি ডা. জাকির বলেন, “একজন আরেকজনকে লাঞ্ছিত করেছেন এমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে যেহেতু ছিলাম না তাই বলতে পারছি না আসলে কী হয়েছিলো। তবে একজন ৬৫ বছর বয়সী চিকিৎসক তিন মাসের কারাদণ্ড পাওয়ার মতো অপরাধ করেননি বলেই আমরা মনে করি।”

সোমবার ৪ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) শেখ মুর্শিদুল ইসলামের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফকে আটক করে পুলিশ।

ঘটনাস্থলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নুরুজ্জামান তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পান সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত