সিলেটটুডে অনলাইন ডেস্ক

০৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১১:১৮

রায়ের অপেক্ষা, আদালত ঘিরে কড়া নিরাপত্তা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় দেয়া হবে আজ। রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন।

এ মামলার অন্যতম ও প্রধান আসামি খালেদা জিয়া সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে রওনা হওয়ার কথা। অবশ্য সকাল সোয়া আটটার দিকে আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে আদালতে আনা হয়েছে।

রায় ঘিরে সকাল থেকে আদালত ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আদালতে প্রবেশের পথে স্ক্যানার বসানো হয়েছে। সবাইকে তল্লাশির পর ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে।

২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুদকের দায়ের করা এ মামলায় দু’পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ২৫ জানুয়ারি। ওইদিনই রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হবে। এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন (৩০ বছর) কারাদণ্ড হতে পারে। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানও এ মামলায় আসামি। এ মামলাতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। বর্তমানের তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন।

এ মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

এছাড়া সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

২৩৬ কার্যদিবসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম শেষ হয়। মামরায় ৩২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২৮ দিন ধরে আসামি খালেদা জিয়া ৩৪২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আর ১৬ দিন তার পক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে।

খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে তাকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ মামলা জড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে ন্যায়বিচার পাবেন কি না- তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।

খালেদা জিয়ার প্রধান আইনজীবী আবদুর রেজাক খান বলেন, ‘নথি জালিয়তি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রসিকিউশন মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এ মামলায় খালেদা জিয়ার খালাস পাবেন।’

অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, ‘আমরা অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করেছি। আদালতের কাছে ছয় আসামিরই সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছি।’

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

পরে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

খবর : পরিবর্তন

আপনার মন্তব্য

আলোচিত