২৯ এপ্রিল, ২০১৮ ১৮:৫৩
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী (অব.) বলেছেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করার কোনো পরিকল্পনা কমিশনের নেই। তবে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যা যা প্রয়োজন সে ধরনের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। এজন্যে ভোটকেন্দ্রগুলোকে সিসি টিভির আওতায় আনার কাজ করা হচ্ছে।
আজ রোববার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউজের লবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (কেসিসি) ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন। এজন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে। সকল দলের প্রার্থীরা যাতে নির্বাচনে তাদের প্রচার-প্রচারণা স্বাভাবিকভাবে করতে পারে সে বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর আগে তিনি খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে বেলা ১১টায় স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির এক সভা করেন।
সভায় নির্বাচন কমিশনার বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ও জনগণকে অবহিতকরণের লক্ষ্যে এবারের কেসিসি নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে অথবা ৪-৫টি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১২ জন ও গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রে ২২ জন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অস্ত্রসহ মোতায়েন থাকবে। জেলা প্রশাসনের ১৩-১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইতোমধ্যে মাঠে কাজ করছে। আগামী ১৩ মে খুলনা সিটিতে বিজিবি মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নির্বাচনের মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, খুলনার রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহমেদ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির, জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান, র্যাব-৬ এর অধিনায়ক খোন্দকার রফিকুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, আগামী ১৫ মে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার মন্তব্য