সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ অক্টোবর, ২০১৮ ১৫:০১

কারাগারে মইনুল হোসেন

সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তির ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার তার জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টাকে সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর রবের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন।

একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে 'চরিত্রহীন' বলে গাল দেন মইনুল হোসেন। তার সেই কটূক্তিতে পেশাজীবী নারী, সিনিয়র সাংবাদিক সহ সম্পাদকরা নিন্দা জানান।

এরপর মাসুদা ভাট্টি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকায় মানহানির মামলা করেন। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলায় মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা হয়। কয়েকটি মামলায় হাই কোর্টে আগাম জামিন নেন মইনুল।

সোমবার বিকেলে রংপুরে দায়ের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সক্রিয় আছেন ব্যরিস্টার মইনুল। আ স ম রবসহ ফ্রন্টের বিভিন্ন নেতার বাড়িতে বৈঠকে তার নিয়মিত যাতায়াত।

গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের একটি আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক আমাদের অর্থনীতির জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি এবং বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত। উপস্থাপক মিথিলা ফারজানা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে যুক্ত করার পর মাসুদা ভাট্টি তার কাছে একটি প্রশ্ন করতে চান এবং জানতে চান— সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে আপনাকে শিবিরের একটি জনসভায় অংশ নিতে দেখা গেছে এবং সে কারণেই অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে, আপনি কী জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে উপস্থিত থাকছেন?

প্রশ্নটি শেষ করার আগেই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং বলেন— আপনার সাহসের প্রশংসা করতে হয়। তবে আমি আপনাকে একজন চরিত্রহীন বলে মনে করতে চাই।

এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার পর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ফোনে ভাট্টির কাছে ক্ষমা চান। তবে এটি যথেষ্ট নয় বলে প্রকাশ্যে তাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেন মাসুদা ভাট্টিসহ দেশের বিশিষ্টজনরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত