সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ অক্টোবর, ২০১৮ ১৫:৪২

ইসির কাছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৫ দাবি

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে বৈঠক করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।

ইসির কাছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ঝুঁকিপূর্ণ সকল নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে হুমকি প্রদানকারীদের শাস্তির আওতায় আনা; জামায়াতের অনুসারিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলকে ঘোষণা করতে হবে যে, তাদের সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই; নির্বাচনের সময় মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান বিরোধী এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ প্রচারকারীদের শাস্তির আওতায় আনা; ৭১ এর গণহত্যাকারীদের সন্তান বা পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং যারা সর্বোচ্চ আদালতের রায় অগ্রাহ্য করছে তাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য ঘোষণা।

এছাড়া সেনাবাহিনীকে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করলে তাদের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে বলেও দাবিতে জানানো হয়।

কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে আরও জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের ৯২টি নির্বাচনী এলাকায় সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভোটের সংখ্যা শতকরা ১২ ভাগ থেকে ৪৮ ভাগ পর্যন্ত। যার বেশির ভাগ ঝুঁকিপূর্ণ।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে যেখানে সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্ব দেন।

পরে বৈঠক বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আদালতের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সদস্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বা জোটগতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখার কোনো আইন নেই।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ তাদের দাবিগুলো জানিয়েছেন। জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি আইন-কানুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা অবহিত করবো। এছাড়া আরপিও সংশোধনের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, যে কোনো সংগঠন আলোচনার জন্য সময় চাইলে, সিইসি সময় দিলে, আলোচনা করা যেতে পারে। তারাও তো ভোটার। ভোটাররাও তো আমাদের স্টেক হোল্ডার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত