নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ অক্টোবর, ২০১৮ ১৩:২৩

লক্ষ্মী পূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা আজ

আজ লক্ষ্মী পূজা। কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মীর আরাধনায় সেজে উঠেছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়। মঙ্গলঘট, ধানের ছড়ার সঙ্গেই গৃহস্থের আঙিনায় আজ শোভা পাচ্ছে চালের গুঁড়ো, আলপনায় লক্ষ্মীর ছাপ।

লক্ষ্মী মানে শ্রী, সুরুচি। লক্ষ্মী সম্পদ আর সৌন্দর্যের দেবী। বৈদিক যুগে মহাশক্তি হিসেবে তাকে পূজা করা হতো। তবে পরবর্তীকালে ধনশক্তির মূর্তি নারায়ণের সঙ্গে তাকে জুড়ে দেওয়া হয়। শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই পূজা করে থাকেন।

পঞ্জিকা মতে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে শুরু হওয়া পূর্ণিমা তিথির সময়কাল বুধবার রাত ১০টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে পূজা শেষ করতে হয়।

ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী ধরায় আসেন তার বাহন পেঁচাকে নিয়ে। হাতে শোভা পায় শস্যের ভাণ্ডার। বাংলাদেশে চান্দ্র আশ্বিন মাসের কোজাগরী পূর্ণিমায় দেবী লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। এছাড়া প্রতি বৃহস্পতিবারও সধবারা ঘরে লক্ষ্মী পূজা করেন।

এ উপলক্ষে হিন্দু রমণীরা উপবাসব্রত পালন করেন। সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে প্রজ্বলন করা হবে প্রদীপ। হিন্দুশাস্ত্র মতে, কোজাগরী পূর্ণিমা রাতে দেবী লক্ষ্মী ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে ভক্ত গৃহে পূজা নিতে আসেন।

প্রাচীনকাল থেকেই হিন্দু রাজা-মহারাজা, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সবাই দেবীকে পূজা দিয়ে আসছেন। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাসে লক্ষ্মীদেবী দ্বিভুজ।

এদিকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমাও আজ।

আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব পালন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে দিবসটি পালন করে আসছেন।

তাই ভিক্ষুসংঘের ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত শেষে আসে এ প্রবারণা তিথি। প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের অনুষ্ঠান। প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে এক মাস দেশের প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে শুরু হবে কঠিন চীবর দানোৎসব।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত